‘লাভ সাইন’ পার্থের, ঠোঁটে হাত দিয়ে ইশারা অর্পিতার, কোর্টের মধ্যে ‘টুরু লাভ’ অপার

‘লাভ সাইন’ পার্থের, ঠোঁটে হাত দিয়ে ইশারা অর্পিতার, কোর্টের মধ্যে ‘টুরু লাভ’ অপার

কত্ত গুলো দিন জেলেই আছেন দু’জনে। সামনা-সামনি দেখাও হয়নি অনেকদিন। তাই ভার্চুয়াল স্ক্রিনে একে অপরকে দেখে কি ‘হার্টবিট’ বেড়ে গিয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের? মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ‘অপা’-র ‘ইশারার প্রেম’ দেখে সেটাই মনে করছেন অনেকে। আজ অর্পিতাকে দেখেই স্ক্রিনের ওপার থেকে ‘লাভ সাইন’ দেখান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আবার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে বিশেষ ইশারা করেন অর্পিতা। যা দেখে অনেকের টিপ্পনি, ‘সত্যি প্রেম তো নির্বাকই।’

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আজ শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালতে স্ক্রিনে পার্থ এবং অর্পিতার মুখ ভেসে ওঠে। প্রথম দৃষ্টিতেই একে অপরকে দেখে মুচকি হাসি হাসেন। নিয়মমতো অডিয়ো বন্ধ থাকলেও (শুধুমাত্র কথা বলার সময় অডিয়ো চালু রাখ হয়) পার্থ এবং অর্পিতার মনের কথা যেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেয়। ইশারায়-ইশারায় দু’জনের ‘প্রেমালাপ’ চলতে থাকে। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল, পার্থ এবং অর্পিতা যেন কলেজ পড়ুয়া।

অর্পিতা খেয়েছে কিনা, তা ইশারায় জানতে চান পার্থ। সেই প্রশ্ন শুনেই যেন মনটা ভালো হয়ে যায় অর্পিতার। ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানান। পার্থের উদ্দেশ্যেও ঘাড় নাড়িয়ে একই প্রশ্ন করেন অর্পিতা। সেই ‘ভালোবাসার আদান-প্রদানের’ মধ্যে কলেজ পড়ুয়াদের মতো ‘খুনসুটি’-তে মেতে ওঠে ‘অপা’ জুটি। অর্পিতাকে জিভ ভেংচে দেন ৭০ বছরের ‘তরুণ’ পার্থ। ‘তরুণ’ পার্থকে দেখে নিজের হাসি সামলাতে পারেননি অর্পিতা। সেই হাসিতে যেন পার্থের মনে ‘ঘণ্টি বাজতে শুরু করে’। বুকে হৃদয় এঁকে ‘হার্ট সাইন’ দেখান পার্থ।

তবে সেখানেই শেষ হয়নি পার্থ এবং অর্পিতার ‘প্রেমালাপ’। বুকে আঙুল দিয়ে কিছু ইশারা করতে থাকেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ। সেই ইশারায় হেসে ফেলেন অর্পিতা। যা দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শুধুমাত্র অর্পিতার হৃদয়েই পৌঁছাবে, এমনই বার্তা দিলেন নাকি পার্থ? সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য শুধুমাত্র পার্থ এবং অর্পিতাই জানবেন। ‘চুপকে সে’ মনের মধ্যে কিছু চলছে কিনা, তাঁরাই তো বলতে পারবেন। তবে আদালতে দু’জনের ‘প্রেমালাগ’ দেখে অনেকের টিপ্পনি কাটেন, ‘বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে আজ আদালতে।’

সেই ‘বসন্তের রাঙা রঙেই’ আবার কিছুটা ‘মান-অভিমান’ পর্বও ধরা পড়ে। আদালতে শুনানির শেষলগ্নে ঠোঁটে হাত দিয়ে বিশেষ ইঙ্গিত করেন অর্পিতা। তাতে যেন কিছুটা রেগে যান পার্থ। মাথার কাছে হাত দিয়ে কিছু একটা ইশারা করেন। ভাবখানা যেন ছিল, ‘হচ্ছেটা কী! এখানে..।’ যা দেখে অনেকের প্রশ্ন, তাহলে কি ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’ রাখতে বললেন পার্থ?

(Feed Source: hindustantimes.com)