কৃষ্ণসাগরের উপর ঘনাচ্ছে সংঘাতের মেঘ! মার্কিন ড্রোন চুরমার করে দিল রুশ বিমান, চড়ছে পারদ

কৃষ্ণসাগরের উপর ঘনাচ্ছে সংঘাতের মেঘ! মার্কিন ড্রোন চুরমার করে দিল রুশ বিমান, চড়ছে পারদ

ব্রাসেলস: যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চরমে উঠেছে সংঘাত। তার মধ্যেই তেতে উঠতে পারে আন্তর্জাতিক কূটনীতি। কারণ মাঝ আকাশে মার্কিন ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধল রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের। মার্কিন সেনার দাবি, কৃষ্ণসাগরের উপর, মাঝ আকাশে মার্কিন ড্রোনের উপর জ্বালানি ঢেলে দেয় রুশ যুদ্ধবিমান। তার পর সরাসরি ওই ড্রোনকে ধাক্কা মারা হয় (US-Russia Conflict)। তাতে মার্কিন ড্রোনটি  চুরমার হয়ে ভেঙে পড়েছে। যদিও ড্রোনটি ছিল সম্পূর্ণ যন্ত্রচালিত। কোনও প্রাণহানি ঘটেনি (Russia Ukraine War)। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্য়ে সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

মার্কিন সেনার দাবি, আঘাত হানার আগে দফায় দফায় MQ-9 ড্রোনটির উপর জ্বালানি ফেলা হয়

ইউরোপে মার্কিন সেনা কম্যান্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমার উপর ওই MQ-9 ড্রোনটির অবস্থান ধরে ফেলে রাশিয়ার দু’টি সুখোই-২৭ যুদ্ধবিমান। ড্রোনটির ডানা ছেঁটে ফেলা হয়। তার পর সেটির উপর আঘাত হেনে গুঁড়িয়ে দেয় রুশ যুদ্ধবিমান। মার্কিন সেনার দাবি, আঘাত হানার আগে দফায় দফায় MQ-9 ড্রোনটির উপর জ্বালানি ফেলা হয়। ড্রোনের আগে পিছে উড়ে বেড়াচ্ছিল রশ যুদ্ধবিমান দু’টি, যা চূড়ান্ত অপেশারিত্বের পরিচয় এবং পরিবেশের জন্যও বিপজ্জনক।

কৃষ্ণসাগরের উপর মার্কিন ড্রোনের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি-ও। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াশিংটনে এ নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, কৃষ্ণসাগরের উপর রাশিয়ার আনাগোনা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু চূড়ান্ত বেপরোয়া মনোভাব, অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে রাশিয়া, যা বিপজ্জনকও বটে।

বিগত এক বছরে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে, কমেনি একচুলও

ব্রাসেলসে ন্য়াটোর কূটনীতিকরা এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। এ ভাবে পরিস্থিতি তেতে উঠবে, বোঝা যায়নি বলে দাবি তাঁদের। কূটনৈতিক স্তরেই বিষয়টি মিটে যাওয়া উচিত বলে মত তাঁদের। তবে এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে এমনিতেই পরিস্থিতি তেতে রয়েছে। বিগত এক বছরে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে, কমেনি একচুলও। রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা। ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে নতুন করে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাত না বেধে যায়, আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

(Feed Source: abplive.com)