বড়সড় ভূমিকম্প নিউজিল্যান্ডে, সুনামির সতর্কতা জারি

বড়সড় ভূমিকম্প নিউজিল্যান্ডে, সুনামির সতর্কতা জারি

কলকাতা: শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের উত্তরে কেরমাডেক (Kermadec Island) দ্বীপে আঘাত হানে ভূকম্প। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৭.১

মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সূত্রের খবর, ভূমিকম্পের উৎস খুব বেশি গভীরে ছিল না। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে ছিল উৎসস্থল। কাছাকাছি থাকা মার্কিন সুনামি ওয়ার্নিং সিস্টেম থেকে সুনামির সতর্কতাও জারি হয়েছে। ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের একটি এলাকায় এই সতর্কতা জারি হয়েছে। তবে সেখানকার দ্বীপগুলিতে মানুষের বসবাস নেই।

যদিও সেদেশের ন্যাশনাল এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি থেকে জানানো হয়েছে ভূমিকম্পের পরে সেখানে সুনামির কোনও সতর্কতা নেই।

এর আগেও ভূমিকম্প;
ফেব্রুয়ারিতেও একবার ভূমিকম্পে কেঁপেছিল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে রাজধানী ওয়েলিংটনে ভূকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.১
সূত্রের খবর, ভূমি থেকে ৭০ কিলোমিটার নীচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ওই এলাকায় থাকা বাসিন্দারা ভূমিকম্প বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছিলেন। ওই দেশের দুটি প্রধান দ্বীপের মাঝে কুক প্রণালী (Cook Strait)- এলাকায় এর এপিসেন্টার ছিল। যদিও এই ভূমিকম্পের কারণে কোনওরকম সুনামির সতর্কতা নেই। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা খেয়েছে নিউজিল্যান্ড। ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের ধাক্কায় তছনছ হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা, ধসের তাণ্ডবে এখনও একাধিক এলাকা তথৈবচ। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। তার মধ্যেই ধাক্কা দিল ভূমিকম্প।

ভৌগোলিক অবস্থানের জন্য নিউজিল্যান্ড অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। প্যাসিফিক প্লেট এবং অস্ট্রেলিয়াল প্লেট এই দুটি মহাদেশীয় পাতের একেবারে মাঝে অবস্থিত নিউজিল্যান্ড। প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার (Pacific Ring of Fire)-এর আওতাতেও রয়েছে এই দেশ। ফলে প্রায়শই ভূমিকম্প অনুভূত হয় এখানে।

কদিন আগেই তুরস্কে:
সম্প্রতি তুরস্ক ও সিরিয়ায় বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছে। যার জেরে তছনছ প্রায় গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়া। পর পর জোরাল কম্পন অনুভূত হয়। তার পর মুহুর্মুহু আফটারশক। তাতই চোখের পলকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় চারিদিক। তার পর এক দু’সপ্তাহ কাটতে চললেও, রেশ কাটেনি ভয়াবহতার। বরং যত সময় যাচ্ছে, পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হচ্ছে। দক্ষিণ তুরস্কে এখনও বহু জায়গায় ধ্বংসস্তূপের নিচে গোঙানি শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ শহরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা। ‘হু’-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন ইতিমধ্যেই তুরস্ক এবং সিরিয়ায় সাহায্য পাঠিয়েছে। তবে দক্ষিণ তুরস্কের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিল্ডিং দাঁড় করিয়ে দেওয়া নিয়ে লাগাতার সতর্ক করে আসছিলেন বিশেষজ্ঞরা। নগরায়নের প্রসার ঘটাতে গিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে দিয়েছিলেন সতর্কবার্তা। কিন্তু কোথাও থেকে প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

(Feed Source: abplive.com)