সব ফাঁস করছেন মণীশ, কোটি কোটি কালো টাকার খোঁজ পেল ইডি! মহাবিপদে অনুব্রত-সুকন্যা

সব ফাঁস করছেন মণীশ, কোটি কোটি কালো টাকার খোঁজ পেল ইডি! মহাবিপদে অনুব্রত-সুকন্যা

নয়াদিল্লি: এবার অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করলেন মণীশ কোঠারি। সূত্রের খবর, এর আগে ইডির জেরায় সব দায় মণীশের উপর চাপিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অন্তত দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে ১৫ মার্চ ইডির আইনজীবী এ কথা জানানোর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন মণীশ কোঠারি। তবে, তার পাল্টা এবার অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তিনি।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ইডি অফিসারদের মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন, গরু পাচারের কালো টাকাতেই অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সট ডিপোজিট করা হয়।

সূ্ত্রের খবর, মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। মণীশ আরও জানিয়েছেন, কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই। তদন্তকারীদের সামনে নিজেকে পেশাদার চ্যাটার্ড অ্যকাউট্যান্ট হিসেবে দাবি করেছেন মনীশ কোঠারি। সূত্রের খবর, ইডির জেরায় কার্যত ভেঙে পড়েছেন মণীশ কোঠারি।

শুধু অনুব্রতই নন, মণীশের বয়ানে সুকন্যা মণ্ডলও বিপদে পড়তে পারেন বলে সূত্রের খবর৷ অনুব্রতর হিসাবরক্ষক ইডি অফিসারদের জানিয়েছেন, সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখা ১৬ কোটি টাকাই আসলে কালো টাকা।  মণীশ ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পেশাদার চ্যাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র এবং তাঁর কোনও কালো টাকা নেই।

তদন্তকারীদের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন মনীশ কোঠারি। তদন্তে কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সট ডিপোজিটের হদিশ পাওয়া যায়। একজন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকার নামে এত কোটি টাকার ফিক্স ডিপোজিট কীভাবে? এই ফিক্সড ডিপোজিটের উৎস কী? হেফাজতে থাকা চাটার্ড অ্যাকাউট্যান্ট মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে উঠে এল আসল রহস্য।

গত  মঙ্গলবার মণীশকে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ দিল্লিতে এই জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি৷ কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সামনে দাঁড়িয়ে সঙ্গত জবাব দিতে পারেননি মণীশ কোঠারি৷ সেই কারণেই তাঁকে শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল বলে ইডি সূত্রে খবর।

(Feed Source: news18.com)