বাংলাদেশঃ বাউফলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

বাংলাদেশঃ বাউফলে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও শিশু কিশোর দিবসের দিন বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ কমপক্ষে ১৫-২০ নেতাকর্মী ও সমর্থককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।

আশংকা জনক অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ কয়েক নেতাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা যুবলীগের নেতা অরিবিন্ধু জানান, দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে তাদের মিছিলে বাধা দেয়।

একপর্যায়ে দলের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইপো যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের উপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।

এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৭-৮ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। শহরের থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এঘটনায় শহরে প্রায় ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব একটি বিশাল আনন্দ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ সভাপতি আসম ফিরোজ এমপি, দলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল আলাদা আলাদা কর্মসূচীর ঘোষনা করেন।

এর মধ্যে আসম ফিরোজ এমপি ও আবদুল মোতালেব হাওলাদার একই স্থানে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে কর্মসূচী ঘোষনা করে। এরপর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বাউফলের ইউএনও জানান, দুই পক্ষকেই সহ অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। আমি করজোড়ে তাদেরকে অনুরোধ করেছি।

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, এ কর্মসূচীর নিরাপত্তা বিধানের জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন ছিল। দুই পক্ষ মুখোমুখি হওয়ায় রাবার বুলেট ছুড়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।

(Feed Source: sunnews24x7.com)