কলকাতা: রাজ্যে জাতীয় শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়ে ৪ বছরের স্নাতকের পাঠক্রম চালু হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ জুলাই থেকেই নয়া নিয়ম কার্যকর হবে। স্নাতক পাঠক্রম নিয়ে ইউজিসির সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা উল্লেখ করে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউজিসি নিয়ম মেনেই এই পাঠক্রম চালু করতে হবে।
মোট ৩২ পাতার চিঠি পাঠানো হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে। স্নাতক স্তরের পাঠক্রমের কিভাবে রূপরেখা তৈরি করতে হবে তাই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইউজিসি। সেই অনুযায়ী পাঠক্রম তৈরি করতে হবে বলেও রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে পাঠানোর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। তবে স্নাতক স্তরের পাঠক্রমের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা দেওয়া হলেও স্নাতকোত্তর স্তরে এখনও পর্যন্ত কি হবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজ্যের শিক্ষানীতি নিয়ে তৈরি হওয়া কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের মধ্য থেকে অনেকেই মতামত দেন উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন সুপারিশ কার্যকর করা না হলে আগামী দিনে ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনুদান পেতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। পাশাপাশি রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরা ও সমস্যায় পড়বেন অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে। তাই সব দিক পরিস্থিতি বিবেচনা করি জাতীয় শিক্ষানীতির একাধিক অংশ কার্যকর করার পথেই হাঁটল রাজ্য।
যদিও কেন্দ্র যখন জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে আসে তখন রাজ্যের তরফে আপত্তির সুর শোনা গিয়েছিল। জাতীয় শিক্ষানীতিকে সামনে রেখে রাজ্যের নিজস্ব শিক্ষা নীতি কিভাবে তৈরি করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি কমিটি ও তৈরি করা হয়েছে। স্কুল শিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্য জাতীয় শিক্ষানীতির বেশ কিছু অংশকে আপত্তি জানিয়ে মানতে চায় না এই কমিটি। চলতি বছরে জানুয়ারিতে পাঠানো ইউজিসিটিতে কোর্স- কারিকুলাম ক্রেডিট করি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়। শিক্ষা দফতরের তরফে পাঠানো নির্দেশিকা সেই বিষয়গুলিও রয়েছে।
তবে কোর্স চলাকালীন পড়াশোনা থেকে বেরিয়ে গেলেও পুনরায় তা শুরু করার পূর্ণ স্বাধীনতা ও দেওয়া হয়েছে নয়া ব্যবস্থায়। অন্যদিকে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি করার পথে হাঁটছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, জাতীয় শিক্ষানীতির এই অংশগুলিকে মান্যতা দিয়ে কী ভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে তা নিয়ে শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন উচ্চশিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
(Feed Source: news18.com)