একটাই নেব। ভালো দেখে নেব। সময়ের সঙ্গে দামি স্মার্টফোনের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে আমজনতার। সকলেরই চাহিদা একটু ভালো ক্যামেরা, বেশি RAM, শক্তিশালী প্রসেসর। চলনসই ফোনের বাজার ক্রমেই কমছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ কী জানেন?
সম্প্রতি রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, Xiaomi-কে টপকে, দেশের বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা হয়ে গিয়েছে Samsung। শাওমির মূল জোর থাকে একেবারে সস্তা থেকে মাঝারি দামের স্মার্টফোনে। অন্যদিকে স্যামসাং ক্রমাগত মাঝারি থেকে বেশি দামের স্মার্টফোনে জোর দিয়েছে। আর তার ফলও মিলেছে হাতেনাতে। শাওমিকে টপকে এগিয়ে গিয়েছে তারা। শাওমির সস্তার স্মার্টফোন একসময়ে মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হত। কিন্তু এখন তার বদলে আরও একটু টাকা জমিয়ে স্যামসাং, ওয়ানপ্লাসের মতো একটু দামি, ব্র্যান্ডেড ফোনের দিকে আগ্রহী সকলে।
কেন? এর একটি কারণ অবশ্যই ব্র্যান্ড। সময়ের সঙ্গে সকলের ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়ছে। তার প্রভাব পড়ছে ফ্যাশান, যানবাহন থেকে স্মার্টফোনে। তাছাড়া এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে ফোনগুলির নির্ভরযোগ্যতাও জড়িয়ে বলে মনে করেন অনেকে।
আরও একটি কারণ হল, ক্রেতারা আগের তুলনায় বেশি সচেতন। তাঁদের চাহিদা বেশি। অল্পবয়সীরা গেমিংয়ের জন্য ভালো কনফিগারেশন চাইছেন। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ছবি তোলার প্রবণতা বাড়ছে। সাধারণ, কম মেগাপিক্সেলের ছবিতে মানুষের মন ভরছে না। সেই কারণে আরও দামি ফোন কিনছেন ক্রেতারা।
দামি ফোন বলতে সবার আগে অ্যাপেলের আইফোনের নাম-ই মাথায় আসে। কিন্তু তার দাম অনেকটাই বেশি। তাই স্যামসাংয়ের ফোন দিয়ে, তুলনামূলকভাবে কমে, দুধের স্বাদ, ঘোলে মেটাচ্ছেন ক্রেতারা।
ফলে সেই সময়টা শাওমি ১০ হাজার টাকার কম দামের ফোনে ব্যস্ত ছিল, তখন ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হচ্ছে, এমন ফোনের প্রচার করেছে স্যামসাং। আর তাতেই বাজিমাত করেছে তারা। এর পাশাপাশি আকর্ষণীয় ফিন্যান্সিং স্কিম, EMI অপশনও দিচ্ছে স্যামসাং।
অন্যদিকে, শাওমিরও যে প্রিমিয়াম ফোন নেই, তা কিন্তু নয়। কিন্তু সস্তার ফোনের সঙ্গে জড়িত কোনও ব্র্যান্ডের ফোনই আরও দাম দিয়ে সাধারণত ক্রেতারা কিনতে চান না। এটাই হয়েছে শাওমির সঙ্গে।
বিষয়টিকে অনেকটা টাটা ন্যানোর সঙ্গে তুলনা করছেন অনেকে। ন্যানোকে ‘গরিবের গাড়ি’ বলে বাজারে এনেছিল টাটা। আর ঠিক সেই কারণেই, কম দামের সঙ্গে খারাপ গুণমান, ব্র্যান্ডিংয়ের অভাব জড়িয়ে গিয়েছিল। ন্যানো ক্রমেই হারিয়ে যায় বাজার থেকে। এক্ষেত্রে শাওমির সঙ্গেও সেটাই হয়েছে।
এই বিষয়ে আপনার কি মত? আপনার পরের ফোন কোন ব্র্যান্ডের হতে চলেছে?
(Feed Source: hindustantimes.com)