একসঙ্গে ২২ অধ্যাপকের ইস্তফা, ব্যাপক ডামাডোল কাজী নজরুলে

একসঙ্গে ২২ অধ্যাপকের ইস্তফা, ব্যাপক ডামাডোল কাজী নজরুলে

পশ্চিম বর্ধমান: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা আরও জটিল হল। উপাচার্য রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার পরই জটিল হয়ে ওঠে আসানসোলের এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। শনিবার সেই আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারণ করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন অধ্যাপক একযোগে পদত্যাগ করলেন।

উপাচার্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করেছেন, এই দাবিতেই শনিবার বিভিন্ন বিভাগ থেকে ২২ জন অধ্যাপক ইস্তফা দেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পরীক্ষা, খাতা দেখা এবং ক্লাস নেওয়া থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে বিক্ষোভরত অধ্যাপকদের দাবি, তাঁরা কোনও পদে না থেকেই দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তাই পদে না থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বা পড়াশোনায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে আসানসোলের নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। শুরু হয় আন্দোলন। অধ্যাপকরা সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, উপাচার্য নানান অনৈতিক কাজে যুক্ত। তিনি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারছেন না। হলে ক্ষতি হচ্ছে তুলনায় নবীন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভ্যন্তরীণ সমস্যার এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান হয়নি। এদিকে একসঙ্গে ২২ জন অধ্যাপকের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে উপাচার্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, অধ্যাপকরা যে অভিযোগ তুলছেন তার স্বপক্ষে কোন‌ও নথি দেখাতে পারছেন না। বিষয়গুলি নিয়ে তিনি আলোচনা করতে রাজি। কিন্তু অধ্যাপকরা যে পথে আন্দোলন করছেন তা মোটেও সঠিক নয়।

(Feed Source: news18.com)