জোটের অস্ত্রে শান! আজ ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মমতা, পুরীর মন্দিরে পুজো দিয়ে সারবেন নবীন-সাক্ষাৎও

জোটের অস্ত্রে শান! আজ ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন মমতা, পুরীর মন্দিরে পুজো দিয়ে সারবেন নবীন-সাক্ষাৎও

কলকাতা: জোটের সলতে পাকাতে খোদ কলকাতায় উড়ে এসেছিলেন অখিলেশ যাদব। এ বার ওড়িশা রওনা দিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে (Lok Sabha Elections 2024) সামনে রেখে বিরোধী জোটের পালে হাওয়া লাগানোর কৌশল বলেই তাঁর ওড়িশা সফরকে ধরা হচ্ছে। কারণ ওড়িশার মুখ্যনন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের (Naveen Patnaik) সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা।

বুধবার সকালে মমতা পুজো দেবেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে

মঙ্গলবার বিকেলেই কলকাতা থেকে ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দেবেন মমতা। বুধবার সকালে পুজো দেবেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও। তার পর বৃহস্পতিবার সকালে বিজু জনতা দলের প্রধান নবীনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

জগন্নাথের ভক্ত বলে এর আগে একাধিকবার জানিয়েছেন মমতা। এমনি ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতার কালীঘাটের বাড়িতে বিরাট যজ্ঞও হয়। সেই যজ্ঞে পৌরহিত্য করেছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিতরাই। তাই মমতার দু’দিনের ওড়িশা সফর ঘিরে জল্পনা বাড়ছে। যদিও এই সফরকে রাজনৈতিক সফরের তুলনায়, ব্যক্তিগত সফর হিসেবেই বেশি করে তুলে ধরা হচ্ছে।

অতি সম্প্রতি কলকাতায় মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশও। সেখানে বিরোধী জোট নিয়ে বৈঠক হয় তাঁদের মধ্যে। সূত্রের খবর, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় জোটের সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। তবে নবীন তাতে সাড়া দেবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ কোনও জোটেই যেতে আগ্রহী নয় বলে এ যাবৎ দাবি করে আসছে বিজু জনতা দল। আবার অতীতে একাধিক বার সংসদে বিল পাসের সময় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশেও থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের।

বিজেপি, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে তৃতীয় জোট!

তবে এই তালিকায় শুধুমাত্র বিজু জনতা দলই নেই, সমাজবাদী পার্টি, এমনকি আম আদমি পার্টিও সুবিধে মতো তৃতীয় জোটের ধারণা উস্কে দিয়েছে। ভারত রাষ্ট্র সমিতির প্রধান, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও তৃতীয় জোটের পক্ষে সওয়াল করছেন দীর্ঘ দিন ধরে। এর নেপথ্য়ে বিগত দুই লোকসভা নির্বাচন এবং একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হতাশাজনক ফলাফল যেমন দায়ী, আবার রাহুল গান্ধীর নেতৃত্ব মানতেও আপত্তি রয়েছে কারও কারও। এ যাব কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চললেও, সম্প্রতি মমতাও জানিয়ে দেন, রাহুল থাকলে আসলে নরেন্দ্র মোদির সুবিধাই হবে। অর্থাৎ রাহুলের রাজনৈতিক যোগ্যতা নিয়ে তিনিও একপ্রকার প্রশ্নই তুলেছেন।

(Feed Source: abplive.com)