দু’ বছরের মেয়ের কান্না থামছিল না, শান্ত করতে খুন করল ১৯ বছরের বাবা!

দু’ বছরের মেয়ের কান্না থামছিল না, শান্ত করতে খুন করল ১৯ বছরের বাবা!

কলকাতা: মেয়ের বয়স ২ বছর। বাবার বয়স ১৯। মেয়ের কান্না থামাতে না পারায় তাকে খুনই করে বসল বাবা! এমনই শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটল কলকাতার এন্টালিতে৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ৷

পৃথিবী কি ? সেটা জানার আগেই একজন শিশু খুন। অন্যদিকে পৃথিবীর বাস্তবতা বুঝে ওঠার আগেই সে হয়ে গিয়েছে বাবা। অর্থাৎ কৈশোর পেরনোর আগেই সংসারের ভার এসে পড়েছিল ১৯ বছরের ওই অভিযুক্তের কাঁধে। অপরিণত মানসিকতাই এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে দায়ী কি না, তা মনস্তাত্ত্বিকদের আলোচনার বিষয় হতেই পারে৷

১৯ বছরের বাবা খুন করেছে তার ২ বছরের শিশু কন্যাকে। সেই ঘটনায় রীতিমতো তাজ্জব এলাকার মানুষজন। খুনের পর বাবা  বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। অবশেষে এন্টালি থানার  পুলিশের হাতে সে ধরা পড়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে, এন্টালি থানা এলাকার মতিঝিলের কনভেন্ট রোডে। মহম্মদ আমন এবং হেনা খাতুন, ওরফে হেনা বেগম। দু’ জনে কনভেন্ট রোডে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। দু’ জনেরই বয়স ১৯ বছর। হেনা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিচারিকার কাজ করে। আমন তিলজলার একটি হাওয়াই চপ্পলের কারখানায় কাজ করত। মোটের উপর সংসার চলে যাচ্ছিল তাদের। গত ১৮ মার্চ সকালবেলা হেনা তার কর্মস্থলে চলে যায়। সেই সময় বাড়িতে আমন ছিল। তাদের দু’ বছরের কন্যাসন্তান, সে বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিল। তাই হেনা আমনকে বলে যায় মেয়েকে দেখভালের জন্য।

হেনা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমন বেশ কিছুক্ষণ ধরে মেয়েকে দেখভাল করতে থাকে। তারপর দু’ বছরের মেয়ে হঠাৎ করে কান্না শুরু করে ।সে কান্না কোনওভাবে থামতে চায়নি।  বহু চেষ্টা করেও কান্না থামাতে না পেরে, আমন মেয়েকে মারধর করে। তার পরেও যখন কান্না থামছিল না, তখন আমন শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ।

খুন করার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সে। নেহা বাড়ি ফিরে এসে মেয়েকে মৃত দেখে , থানায় খবর দেয়।  এন্টালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ঘটনাটি থানা ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সমান্তরালে তদন্ত শুরু করে। কয়েকদিন এদিক ওদিক গা ঢাকা দিয়েছিল আমন ।আজ তাকে মতিঝিলের একটি বস্তি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।আমন মেয়েকে খুনের কথা পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছে।

(Feed Source: news18.com)