সন্ন্যাসীর চোখ খুবলে নিল দুষ্কৃতীরা, ঠাকুরবাড়ির মধ্যেই পিটিয়ে খুন

সন্ন্যাসীর চোখ খুবলে নিল দুষ্কৃতীরা, ঠাকুরবাড়ির মধ্যেই পিটিয়ে খুন

 বুধবার রাতে শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। বিহারের রোহতাস জেলায় একটি হনুমান মন্দিরে ৯০ বছর বয়সী এক মোহন্তকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মোহন্ত যদুবাবার উপর রাতে নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছে। শরীরের গোপন অঙ্গে প্রথমে আঘাত করা হয়। এরপর তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়। এরপর তাকে মৃত অবস্থায় ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঝড় বৃষ্টির রাতে এই ঘটনা হয়েছে মন্দির চত্বরে।

এদিকে সকালেও ঠাকুরবাড়ির দরজা খোলেনি। এনিয়েই সন্দেহ হয় বাসিন্দাদের। তারপর বাসিন্দারা পাঁচিল টপকে ভেতরে যান। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন একেবারে রক্তে ভেসে যাচ্ছে মোহন্তের শরীর। এদিকে ওই রাতে প্রচ ণ বৃষ্টির জেরে ঠাকুরবাড়িতে বিশেষ কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

এরপর পুলিশে খবর দেন বাসিন্দারা। তারপর তারা দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর সাসারামে তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

বিক্রমগঞ্জে তার আত্মীয়দের কাছে খবর দেওয়া হয়।  তারা এসে জানিয়েছেন, তিনি একজন সন্ন্যাসী ছিলেন। এক দশক আগে তিনি বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কারোর সঙ্গে তার শত্রুতা ছিল না। এসডিপিও শশী ভূষণ সিং ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে প্রশ্ন উঠছে কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত। ওই মোহন্ত সংসার ছেড়ে এসে ওই মন্দিরে সন্ন্যাসীর জীবন যাপন করছিলেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাই জানিয়েছেন তার শত্রু বলতে কেউ ছিলেন। তবে তাকে এভাবে কেন খুন করা হল? খুনের কারণটাও খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে নৃশংসতা এতটাই ছিল যে তার চোখ খুবলে নেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রশ্ন, তবে কি এমন কিছু দেখে ফেলেছিলেন ওই মোহন্ত যে তার চোখ দুটো এভাবে খুবলে নেওয়া হল? এই নৃশংস খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন সাধারণ মানুষ।

(Feed Source: hindustantimes.com)