বাঁকুড়া: মিষ্টি মানেই ছানা আর ছানা ছাড়া সুস্বাদু মিষ্টি নাকি সম্ভবই নয়। এই মিথটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এর মেচা সন্দেশ। ছানা দিয়ে নয় । এই মিষ্টি তৈরী হয় বেসন দিয়ে। সামান্য বেসন দিয়েই বাজিমাত বাঁকুড়ার মেচার।
এই মেচার সামনে ফিকে কলকাতার রসগোল্লা থেকে শুরু করে শক্তিগরের ল্যাংচা। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোরের লালুর দোকানের মেচা প্রিয় সকলের। বাঁকুড়া দুর্গাপুর রোডের ওপর এই দোকানে নিত্য যাতায়াত বহু মানুষের। প্যাকেট প্যাকেট মেচা হাপিস হয়ে যায় নিমেষেই। শুধু মাত্র সাধারণ চিনির মোড়কে মোড়া মেচা সন্দেশ নয়, রয়েছে লাইট সুগার মেচাও।
প্রথমে বেসনের গাঠিয়া বানিয়ে সেটাকে একদম মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে তারপর ছানা এবং চাচি মিশিয়ে তৈরি করা হয় লালুর এই স্পেশাল মেচা সন্দেশ। কম সুগারের মেচাতে চাচির পরিমাণ বেশি থাকে তুলনামুলক ভাবে। এই দুই মেচা সন্দেশ নিয়েই চলছে কারবার। অসম্ভব খ্যাতি লাভ করেছে লালুর মেচা। সাধারণ মেচা তো আছেই তবে অনেকেরই প্রিয় কম চিনির সুস্বাদু মেচা। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই কম চিনির মেচাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।
বাঁকুড়া জেলার নামের সঙ্গে অতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে মেচা সন্দেশের নাম। বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় এর মেচা সন্দেশ পেয়েছে বিশেষ প্রসিদ্ধি। আজও এক নিশ্বাসে বাঁকুড়া বললেই চলে আসে মেচা সন্দেশের নাম। তাই এখনও যদি কোনোও এক অজ্ঞাত কারণে এই বিশেষ মিষ্টির স্বাদ না পেয়ে থাকেন, তাহলে আর দেরি না করে রওনা দিন বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় এর উদ্দেশ্যে। হয়ত একবার খাবার পর আপনিও ঝোলা ভর্তি করে মেচা নিয়ে যাবেন পরিবারের জন্যে।
(Feed Source: news18.com)