‘কবে ইডি তুলে নেবে বলা মুশকিল!’তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জনের নিশানায় দলের কোন নেতা?

‘কবে ইডি তুলে নেবে বলা মুশকিল!’তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জনের নিশানায় দলের কোন নেতা?

বলাগড়: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে হুগলি জেলার বলাগড়ের নাম। সৌজন্যে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তনু ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকজন রয়েছেন ইডি-র নজরে। এবার সেই বলাগড়েরই তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি নাম না করেই দলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাকরির বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুললেন। ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল বিধায়ক আরও লেখেন, যে কোনও দিন ওই নেতাকে ইডি তুলে নিতে পারে।

তৃণমূল বিধায়কের এই ফেসবুক পোস্ট নজরে আসার পরই ওই নেতার পরিচয় নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। নিয়োগ দুর্নীতির কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূলের অস্বস্তিও আরও বাড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য নিজের করা ফেসবুক পোস্টের একাংশ বদলে দেন তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারি। তাতে অবশ্য বিতর্ক থামছে না।

শনিবার রাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করে তৃণমূলের এই সাহিত্যিক বিধায়ক অভিযোগ করেন, দলেরই কোনও এক নেতা লেখক হিসেবে তাঁর দক্ষতা নিয়েই বলাগড় এলাকায় প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূল বিধায়ক লেখেন, ‘বলাগড় বিধান সভার এক নেতা সবাইকে বলে বেড়াচ্ছে আমি নাকি আমার সাতাশ খানা বইয়ের একটাও নিজে লিখিনি!কে একজন নাকি আমাকে লিখে দেয় আর আমি তা নিজের নামে ছাপাই।

যেদিন এক পথ দুর্ঘটনায় তরুণ সেন মারা গেলেন আমি তখন ছিলাম একটি সাহিত্য সভায় ঝাড়খণ্ডে।সেই শশ্মান ভুমিতে আমার অনুপস্থিতিতে বহু জনের সামনে সে নাকি চ‍্যালেঞ্জ করে গেছে আমাকে এক মাস একা একটা ঘরে বন্ধ করে রাখবে। পারলে আমি একটা লেখা লিখে যেন দেখাই। তাহলে সে নাকি এক লক্ষ টাকা দেবে!’

এর পরেই মনোরঞ্জন ব্যাপারি লেখেন, ‘ভাবছি চ্যালেঞ্জটা নিয়ে নেবো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বেচারার নামে যা কেস কবে ইডি তুলে নেবে বলা মুশকিল। এক দু জনের টাকা নাক কান মুলে ফেরত দিয়েছে। কতজনের দেয়নি কে জানে। জেলে গেলে তখন ওই লক্ষ টাকা দেবে কে?’

কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য নিজের প্রথম পোস্টের এই বিতর্কিত অংশ সরিয়ে নেন বলাগড়ের বিধায়ক। তার বদলে তিনি লেখেন, ‘ভাবছি চ‍্যালেঞ্জটা নিয়ে নেবো। কিন্তু সত‍্যি সত‍্যি টাকাটা দেবে তো? নাকি ফাঁকা প্রতিশ্রুতি?’

তদন্তে নেমে ইডি বার বারই দাবি করছে, শান্তনু, কুন্তলদের মতো নেতারা স্থানীয় স্তরে নিজেদের ঘনিষ্ঠদের কাজে লাগিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিপুল টাকা তুলেছিলেন। বলাগড়ে গিয়ে শান্তনু ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে এসেছে ইডি। এবার খোদ তৃণমূল বিধায়কই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আরও এক নেতার কথা সামনে আনায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলের অস্বস্তি আরও বাড়ল।

(Feed Source: news18.com)