সুভাষ চক্রবর্তীকে ‘চিরকুট’ দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন, চাকরির তদ্বির প্রকাশ্যে

সুভাষ চক্রবর্তীকে ‘চিরকুট’ দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সুজন, চাকরির তদ্বির প্রকাশ্যে

দু’‌দিন আগেই অশীতিপর সিপিএম নেতা বিমান বসু দাবি করেছিলেন, বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হতো না। আর তাঁর এমন কিছু জানাও নেই। বিমানবাবুর কমরেড সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য করেছিলেন বিমানবাবু। এবার সেই সুজন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই ‘চিরকুটে চাকরি’ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে চলে এল। আর তা নিয়ে ফের রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নানা বাম নেতার বিরুদ্ধে চিরকূটে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখন তৃণমূল কংগ্রেস সেসব প্রকাশ্যে আনছে।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ এবার একটি চিরকূট সামনে এসেছে। সেটা ২০০৭ সালের দুটি ‘চিরকুট’। সেই দুটি চিরকূটে দেখা যাচ্ছে, তদানীন্তন সিপিএম সাংসদ সুজন চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের পার্টি পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি ‘করে দিতে হবে’ বলে চিরকুট পাঠাচ্ছেন। সেটাও আবার সাংসদের লেটার হেডে। তবে এই চিরকুটের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্র বলছে, যে ই–মেল আইডি খোলা হয়েছে তাতে ১০ মিনিট অন্তর একটি করে চিরকূটে চাকরির অভিযোগ জমা পড়ছে। ইতিমধ্যেই হাজার সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে।

ঠিক কী লিখেছিলেন সুজনবাবু?‌ পরিবহণ দফতরে চাকরি করে দিতে সেই লেটার হেডে দুটি চিরকুট লিখেছিলেন সুজন চক্রবর্তী। একটি চিরকূট তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীকে। অপরটি সুভাষবাবুর তখনকার কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএ) নিখিল পালকে লেখা। সেখানে সুজনবাবু লিখছেন, ‘কমরেড সুভাষ চক্রবর্তী, আশাকরি ভাল আছেন। পত্রবাহককে পাঠালাম। ভাল ছেলে। মগরাহাটের পার্টি পরিবারের সদস্য। পুলকারের জন্য। ইন্টারভিউতে পাশ করেছে। যদি দেখে নেন ভালে হয়। খুবই ভাল ছেলে।’ এই বয়ানের নীচে সুজনবাবুর সই–সহ তারিখ ০৫.০৫.০৭। সাংসদের লেটার হেডে নিখিল পালকে দ্বিতীয় চিরকুটে লেখেন, ‘কমরেড নিখিল/ সিএ টু সুভাষ চক্রবর্তী, কথামতো পত্রবাহক কমরেডকে পাঠালাম। প্র্যাটিকাল টেস্টে পাশ করেছে। করে দিতে হবে।’ এখানেও সুজনবাবুর সই–সহ তারিখ ০৫.০৫.০৭।

ঠিক কী বলছেন সিপিএম নেতা?‌ ইতিমধ্যেই সুশান্ত ঘোষের পরিবারের সদস্যরা এভাবে চিরকূট দিয়ে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার আবার সুজনের চিরকূট সামনে চলে এল। তবে চিরকুটে চাকরির এই লেটার হেড লেখার কথা স্বীকার করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমি সাংসদ থাকার সময় কমরেড সুভাষ চক্রবর্তীকে একটি চিঠি লিখেছিলাম। গ্রামের একটি গরিব ছেলে পুলকারের চাকরির ইন্টারভিউতে পাশ করেছিল। তার যাতে খারিজ না হয় সেটা চেয়েছিলাম। এর সঙ্গে চাকরি বিক্রির সম্পর্ক নেই।’

(Feed Source: hindustantimes.com)