জ্যোতিষ চর্চা শিখতে চান? দেরি না করে শিখে নিন, মালামাল হতে সময় লাগবে না

জ্যোতিষ চর্চা শিখতে চান? দেরি না করে শিখে নিন, মালামাল হতে সময় লাগবে না

দুর্গাপুর: শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সদ্য শেষ হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও। পরবর্তী পড়াশোনার অধ্যায় শুরু করার আগে পড়ুয়াদের হাতে রয়েছে বেশ কিছুটা সময়। যদিও বহু পড়ুয়া ইতিমধ্যেই নানান বিষয়ে নিজেদের আগামী দিনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন আবার অনেকেই এখনও পর্যন্ত দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না, ফাঁকা এই সময় কী ভাবে কাজে লাগাবেন। অনেকেই চাইছেন এই অল্প সময়ের মধ্যে ছোট কোন কোর্স করে রাখতে। যা আগামী দিনে তাদের কর্ম ক্ষেত্রে সুবিধা প্রদান করবে। এই প্রতিবেদনে তেমনি পাঁচটি অল্প সময়ের কোর্সের সন্ধান দেওয়া হল।

(নিচে উল্লেখ করা সমস্ত ধরনের কোর্স গুলি কোথায় করানো হয়, সংস্থার ঠিকানা, যোগাযোগ নম্বর, বা কোর্স সম্পর্কে ধারণা, খরচ ইত্যাদি জানতে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে গুগলের। তবে অবশ্যই এই সমস্ত সংস্থাগুলি সম্পর্কে কোর্স করার আগে জেনে নিতে হবে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য।)

জ্যোতিষ চর্চাঃ

জ্যোতিষ চর্চার ওপর অনেকেই বিশ্বাস রাখেন। আবার অনেকেই এ বিষয়টিকে বিশ্বাস করতে পারেন না। তবে এই বিষয়ে যাদের আগ্রহ রয়েছে, তারা অল্প সময়ের মধ্যে জ্যোতিষ চর্চা শিখে খুঁজে পেতে পারেন আয়ের দিশা। জ্যোতিষ চর্চা নিয়ে ঠিক মত এগিয়ে গেলে, বহু টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে হাতের কাছেই। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে জ্যোতিষ চর্চা শেখানো হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রয়েছে অনলাইনে জ্যোতিষ চর্চা, গণনা শেখার সুযোগ। তাই গণনার বিষয়ে যদি আগ্রহ থেকে থাকে, তাহলে এই ফাঁকা সময়ে নেওয়া যেতে পারে জ্যোতিষ চর্চার জ্ঞান। জ্যোতিষ চর্চা নিয়ে ঠিক মত এগিয়ে গেলে মালামাল হতে সময় লাগবে না।

টাইপিংঃ

সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় বেশি কম্পিউটার শিক্ষা। পাশাপাশি যদি টাইপিং শিখে রাখা হয়, তাহলে চাকরি পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। কারণ সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় নেওয়া হয় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তা ছাড়া অফিসিয়াল নানা কাজে টাইপিং জানা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই উচ্চতর পড়াশোনা করার পাশাপাশি যদি টাইপিং-এ দক্ষতা থাকে, তাহলে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে বেশি। তাই পরীক্ষা শেষের ফাঁকা সময় করে রাখা যেতে পারে এই কোর্স।

ভাষা শিক্ষাঃ

পরীক্ষার পরে এই ফাঁকা সময়ে শিখে নেওয়া যেতে পারে বিভিন্ন বিদেশি ভাষা। বিশেষ করে ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষা শিখে রাখতে পারলে লাভ আছে আগামী দিনে। একইসঙ্গে শিখে রাখা যেতে পারে তামিল ভাষাও। তাছাড়া আরও অন্যান্য বিদেশী ভাষা রয়েছে। ইচ্ছামত সেই ভাষা শিখে রাখতে পারলে সুবিধা হবে। কারণ বিদেশি ভাষায় দক্ষতা থাকলে, বিভিন্ন দেশের বিদেশ মন্ত্রকে কাজ পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এই মুহূর্তে ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় দক্ষতা থাকলে কাজ পেতে সুবিধা হবে অনেকটাই। সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন জায়গা, এমনকি পুলিশ – প্রশাসনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন পরে দোভাষীদের। বিভিন্ন জায়গায় অনুবাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগও থাকবে। সেজন্য যদি বিদেশি বা ভারতের অন্যান্য ভাষার উপর দক্ষতা থাকে, তাহলে কাজের সুযোগ মিলবে সহজেই।

রিপিয়ারিং কোর্সঃ

বর্তমানে অনেকে উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ঝুঁকতে হচ্ছে নানা রকম ব্যবসার দিকে। খুঁজতে হচ্ছে বিকল্প আয়ের দিশা। পরীক্ষার পরে নতুন করে পড়াশোনা শুরু করার আগে ফাঁকা এই সময়ে শিখে রাখা যেতে পারে রিপিয়ারিং কোর্স। বিশেষ করে যাদের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছা রয়েছে বা ভালোলাগা রয়েছে, তাদের জন্য এই ধরনের কোর্সগুলি আদর্শ। এক্ষেত্রে শিখে রাখা যেতে পারে মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স, রেফ্রিজারেটর রিপেয়ারিং কোর্স, এয়ার কন্ডিশনার রিপেয়ারিং কোর্স। হলফ করে বলা যায়, এই মুহূর্তে মোবাইল রিপেয়ারিং কোর্স যাদের করা রয়েছে, তাদের চাকরির চিন্তা খুব বেশি করতে হয় না। কারণ এখন সবার হাতে স্মার্টফোন, নানান নামিদামি মোবাইল। আর সেগুলি মেরামত করার জন্য এই সমস্ত মেকানিকদের চাহিদা তুঙ্গে। তাই এই সময়কে কাজে লাগিয়ে করে রাখা যেতে পারে পছন্দমত কোনও রিপিয়ারিং কোর্স।

বিউটিশিয়ান কোর্সঃ

পরীক্ষার পরে এই ফাঁকা সময়ে মেয়েদের জন্য রয়েছে এই কোর্সটি করার সুযোগ। একজন বিউটি এক্সপার্ট হতে পারলে যে কত রকমের কাজের সুযোগ রয়েছে, বা কত দিক থেকে রোজগার করার সুযোগ রয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ফাঁকা সময়ে মেয়েরা শিখে রাখতে পারেন বিউটিসিয়ান কোর্স। প্রথমে বিউটিশিয়ান কোর্সের প্রাথমিক বিষয়গুলি শিখে, পরে প্রয়োজন মতো ব্রাইডাল সহ মেক আপের অন্য স্পেশাল কোর্সগুলিও করা যেতে পারে। এই কোর্স করে রাখতে পারলে, ভবিষ্যতে মেয়েদের আর চাকরির চিন্তা না করলেও চলবে।

(Feed Source: news18.com)