বিস্ফোরক সরবরাহেও কি প্রভাবশালী যোগ ? মদত পুলিশের ? জোড়া গ্রেফতারের পর দাবি এনআইএ-র

বিস্ফোরক সরবরাহেও কি প্রভাবশালী যোগ ? মদত পুলিশের ? জোড়া গ্রেফতারের পর দাবি এনআইএ-র

আবির দত্ত, কলকাতা : এবার বিস্ফোরক সরবরাহেও (Explosive supply) কি প্রভাবশালী যোগ ? রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে NIA তল্লাশিতে মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান ও মোয়াজউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তির গ্রেফতারিতে জোরাল হচ্ছে তেমনই জল্পনা। সূত্রের খবর, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গেছে এই ২ জন। পুলিশের সাহায্যেও এই কাজ চলত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, NIA  গ্রেফতারি এড়াতে বিকাশ ভাবনে (Bikash Bhavan) সফটওয়ার ডেভেলপার হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান। NIC প্রজেক্টে কাজ করছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক আর ২৭ হাজার কেজি অ্য়ামোনিয়াম নাইট্রেট সাপ্লাই করেছিল এরা। এত পরিমানে বিস্ফোরক উদ্ধারের পরও কেন এরা ধরা পড়েনি উত্তর খুঁজছে NIA। যে পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে তা থেকে বোমা বা বিস্ফোরক জাতীয় কোনও জিনিস বানানো হলে, তার বিস্ফোরণে কম করে ১০০ জনের প্রাণ যেতে পারত বলেই দাবি করা হচ্ছে। আর পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে এই গ্রেফতারি ঘিরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

বীরভূম বিস্ফোরককাণ্ডে (Birbhum Blast) গ্রেফতার, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দাবি এনআইএ-র। ‘রাজ্য সরকারের লাইসেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে বিস্ফোরক পাচার. যাদের লাইসেন্স নেই, তাদেরও সরবরাহ করা হয়েছে বিস্ফোরক, বিস্ফোরককাণ্ডে ধৃতের ৫দিন হেফাজতে চেয়ে সওয়াল ইডির। পাল্টা ‘রাজ্য সরকারি কর্মীকে ধরেছে এনআইএ, পারিবারিক ব্যবসা’,পারিবারিক ব্যবসা, লাইসেন্স থাকার দাবি অভিযুক্তের আইনজীবীর।

এনআইএ সূত্রের দাবি, বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এর আগে মহম্মদবাজার থেকে রিন্টু শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। রিন্টুকে জেরা করে পাওয়া যায় নুরুজ্জামান এবং মোয়াজদ্দিনের নাম। রানিগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে NIA তল্লাশিও শুরু করে । যার পরে গ্রেফতার করা হয়েছে মীর মহম্মদ নুরুজ্জুমান ও মোয়াজউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তিকে। আর যে গ্রেফতারির পরই প্রভাবশালী যোগ থেকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

NIA-এর যে দাবির পরই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল রাজনৈতিক চাপানউতোর। এমনিতেই রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। নির্বাচনের প্রাক্কালে শাসক দল রাজ্যকে অশান্ত করতে চাইছে বলেই দাবি তুলছে বিরোধীরা। অপরদিকে, রাজ্যের শাসকদলের দাবি আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে রাজ্যের পুলিশ যে সর্বদা সজাগ, সেই প্রমাণই বারবার মিলেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রমাগত অস্ত্র, বোমা উদ্ধারের একাধিক ঘটনায়।

(Feed Source: abplive.com)