কোহলি ও ডুপ্লেসির ব্যাটিং তাণ্ডবে ধরাশায়ী রোহিতের মুম্বই, ৮ উইকেটে জয় আরসিবির

কোহলি ও ডুপ্লেসির ব্যাটিং তাণ্ডবে ধরাশায়ী রোহিতের মুম্বই, ৮ উইকেটে জয় আরসিবির

বেঙ্গালুরু: চিন্নাস্বামীতে ফাফ ডুপ্লেসি ও বিরাট কোহলির ব্যাটিং ঝড়। উড়ে গেল রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২২ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। অপরদিকে, ২০১৩ সাল থেকে আইপিলের প্রথম ম্যাচ হারার যে ধারা তৈরি হয়েছে মুম্বইয়ের তা এবারও অটুট থাকল। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তিলক বর্মা সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন। জবাবে ১৬.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সহজেই জয় পায় আরসিবি। ৮২ রান করেন বিরাট কোহলি ও ৭৩ রান করেন ফাফ ডুপ্লেসি।

এদিন শুরুটা ভালো হয়নি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ২০ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফেরত যান মুম্বইয়ের তিন তারকা ব্যাটার রোহিত শর্মা, ইশান কিশান ও ক্যামেরন গ্রিন। এরপর সূর্যকুমার যাদব ও তিলক বর্মা কিছুটা দলের স্কোর এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু বড় স্কোর করতে পারেননি সূর্যকুমার। ১৫ রান করে আউট হন তিনি। একদিকে থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিকে গত মরসুমের দুরন্ত ফর্ম ধরে রাখেন তিলক বর্মা। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন নেহাল ওয়েধেরা। দুজন মিলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ করেন। ৯৮ রানে পঞ্চম উইকেট পড়ে। ২১ রান করে আউট হন নেহাল ওয়েধেরা।

এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলকে একার হাতে টানেন তিলক বর্মা। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন তিনি। কিন্তু নিরাশ করেন টিম ডেভিডও। ৪ রান করে আউট হন তিনি। হৃত্ত্বিক শকিন আউট হন ৫ রানে। তবে লড়াই চালিয়ে যান তিলক বর্মা। শেষের দিকে আরশাদ খান ও তিলক বর্মা মিলে একটা ঝড়ো পার্টনারশিপ করেন। ৪৮ রান যোগ করেন তারা। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানে শেষ হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংস। ৪৬ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক বর্মা ও আরশাদ খান অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।

১৭২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অনবদ্য শুরু করেন আরসিবির দুই তারকা ওপেনার ফাফ ডুপ্লেসি ও বিরাট কোহলি। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে প্রিয় দলের থেকে ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখতে চেয়েছিল সেটাই করে দেখালেন বিরাট ও ডুপ্লেসি। দুই তারকার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কোনও জবাবই ছিল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলারদের কাছে। বিশেষ করে জোফ্রা আর্চার বনাম কোহলি-ডুপ্লেসির যে লড়াই দেখার অপেক্ষা ছিল ক্রিকেট ফ্যানেরা। সেই লড়াইতেও ফুল মার্কস পেল আরসিবি দুই মহাতারকা।

একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট খেলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। দ্রুত গতিতে নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করেন দুজন। প্রথমে অর্ধশতরান, তারপর শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন কোহলি ও ডুপ্লেসি। দলকে জয় নিশ্চি্ৎ করার পরই আউট হন ডুপ্লেসি। ১৪৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৪৩ বলে ৭৩ রান করে আরশাদ খানের বলে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। ৬টি ছয় ও ৫টি চার মারেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেট দ্রুত হারায় আরসিবি। দলের ১৪৯ রানে খাতা না খুলেই ক্যামেরন গ্রিনের শিকার হন দীনেশ কার্তিক। এরপর ম্যাক্সওয়েল এসে পরপর দুটি ছয় মারেন। ছয় মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেম বিরাট কোহলি। ৪৯ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। ৬টি চার ও ৫টি ছয় মারেন তিনি।

(Feed Source: news18.com)