কলকাতা: সদ্য শুরু হয়েছে চলতি বছরের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। এই টুর্নামেন্টের অফিশিয়াল ডিজিটাল স্ট্রিমিং পার্টনার জিও সিনেমা। আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, আইপিএল-এর প্রথম কয়েকটি ম্যাচেই ভেঙে গিয়েছে জিও সিনেমার রেকর্ড। ফলে উচ্ছ্বসিত সংস্থা। ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোরঞ্জনের জন্য আরও নানা ফিচার আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিওসিনেমা।
সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, এবারের আইপিএল-এর প্রথম কয়েকটি ম্যাচেই গত বছরের আইপিএল মরশুমের এমনকী, আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এর রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। জিও সিনেমার ফ্যান-কেন্দ্রিক উপস্থাপনা দর্শকদের আরও আকর্ষণ করেছে। প্রথম ম্যাচ ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস আর হার্দিক পাণ্ডিয়ার গুজরাত টাইটান্সের মধ্যে। ওই দিন জিওসিনেমা অ্যাপ সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই ম্যাচের দিনে জিও সিনেমায় ২.৫ কোটির উপর ডাউনলোড রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যা এক দিনে সবথেকে বেশি ইনস্টল করা অ্যাপ হিসেবে রেকর্ড তৈরি করেছে।
আবার ডিজিটাল ভিউয়িংয়ের হিসেব বলছে, গত মরশুমের প্রথম সপ্তাহান্তের তুলনায় এই মরশুমের সপ্তাহান্তে জিও সিনেমায় প্রতি ম্যাচে দর্শক প্রতি অতিবাহিত সময় প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। জিও সিনেমায় প্রায় ১৪৭ কোটিরও বেশি ভিউ হয়েছে। ফলে তা আইপিএল-এর প্রথম সপ্তাহান্তের হিসেবে সেরার রেকর্ড ছিনিয়ে নিয়েছে।
জিও সিনেমা আসলে ইতিমধ্যেই চলতি মরশুমে আকর্ষণীয় কিছু ফিচার চালু করেছে। তার মধ্যে অন্যতম হল একসঙ্গে মোট ১২টি ভাষায় গ্রাহকরা উপভোগ করতে পারবেন আইপিএল। ইংরেজি এবং হিন্দির পাশাপাশি আইপিএল দেখা যাবে মরাঠি, গুজরাতি, ভোজপুরি, ওড়িয়া, বাংলা, তামিল, তেলুগু, মলয়ালম এবং কন্নড়ের মতো আঞ্চলিক ভাষাতেও। এর সঙ্গে আরও নতুন নতুন ভাবে যাতে দর্শকদের মনোরঞ্জন করা যায়, তার জন্য জিও সিনেমা ৪টি অ্যাডিশনাল ফিড প্রদান করছে। এর মধ্যে থাকছে ইনসাইডার্স ফিড, হ্যাংআউট ফিড, ফ্যান্টাসি ফিড এবং ফ্যানজোন ফিড। এছাড়াও ৪কে ফিড, ১২টি ভাষার কভারেজ, ১৬টি অনন্য ফিড, হাইপ মোড এবং মাল্টিক্যাম সেটআপ-সহ আরও নানা অনন্য ফিচার উপভোগ করতে পারছেন ভক্তরা।
Viacom18 Sports-এর সিইও অনিল জয়রাজ বলেন, “এই পরিসংখ্যান সত্যিই ব্যতিক্রমী। আর দেশে যে ধীরে ধীরে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটছে, এই পরিসংখ্যানটা তারও প্রমাণ বটে। ডিজিটালের নানা দিক থেকে সুবিধা রয়েছে। আর কত সংখ্যক মানুষ তা দেখতে আসছেন বা দেখছেন, তার উপর ভিত্তি করেই ডিজিটালের হিসেব পরিমাপ করা হয়ে থাকে। আসলে কন্টেন্ট দেখার বিষয়টা অপরিবর্তনীয় ভাবে ডিজিটালে স্থানান্তরিত হয়েছে। আর এই সপ্তাহের জিওসিনেমার পারফরম্যান্সই এর সবথেকে বড় প্রমাণ।”
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘টাটা আইপিএল ২০২৩ শুরু হওয়ার প্রথম উইকেন্ডেই আমরা যে ঘটনার সাক্ষী থাকলাম, সেটাই প্রমাণ যে, মানুষ জিও সিনেমার উপর ভরসা রেখেছে। জিও সিনেমার পরিষেবা সহজ, সুলভ আর সাশ্রয়ী। আবার এটাই প্রথম ক্রিকেট সম্প্রচার যা ভোজপুরি, পঞ্জাবি, ওড়িয়া এবং গুজরাতি-সহ নানা ভাষায় উপলব্ধ। আমি সকল স্পনসর, বিজ্ঞাপনদাতা এবং পার্টনারদের আমাদের এই সফরে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।”