সাই-এর ‘সুদর্শন’ ইনিংস,মিলারের কিলার ব্যাটিং,দিল্লির ঘরে ঢুকে হারিয়ে আসল গুজরাত

সাই-এর ‘সুদর্শন’ ইনিংস,মিলারের কিলার ব্যাটিং,দিল্লির ঘরে ঢুকে হারিয়ে আসল গুজরাত

দিল্লি: আইপিএল ২০২৩-এও দুরন্ত ফর্ম অব্যাহত গুজরাত টাইটান্সের। দিল্লিতে গিয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচেও সহজ জয় পেল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাটে-বলে দুরন্ত পারফর্ম করে ডেভিড ওয়ার্নারের দলকে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ দিল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১১ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হারাল গুজরাত টাইটান্স। ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করল দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় গুজরাত। সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন সাই সুদর্শন। এছাড়া শেষের দিকে ৩১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দিল্লির ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে শুরু করেছিলেন মহম্মদ শামি। তারপরও ওয়ার্নার শুরুটা ভালোই করে। কিন্তু এদিনও নিরাশ করেন পৃথ্বি শ, মিচেল মার্শরা। ছোট ছোট ইনিংস খেললেও কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠেনি। ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৭, সরফরাজ খান ৩০ ও শেষের দিকে অক্ষর প্যাটেলের ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। এদিন দিল্লির হয়ে অভিষেক বাংলার অভিষেক পোড়েলের। জোড়া ছক্কা মারলেও ২০ রানেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

মহম্মদ শামি, আলজারি জোসেফ ও রাশিদ খান সমৃদ্ধ বোলিং অ্যাটাকের সামনে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে দিল্লি। ৪১ রানের সবথেকে বড় পার্টনারশিপ করেন দিল্লির সরফরাজ খান ও অভিষেক পোড়েল। তবে দল গত প্রয়াস ও শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে নিজের ফর্মের ফের ঝলক দেখান অক্ষর প্যাটেল। ২২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে দিল্লির স্কোর ১৫০ পার করেন তিনি। ৩টি ছয় ও ২টি চার মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৬২ রান করে দিল্লি। গুজরাত টাইটান্সের হয়ে সবথেকে বেশি ৩টি করে উইকেট নেন মহম্মদ শামি ও রাশিদ খান। এছাড়া ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।

রান তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুটা ভালো হয়নি গুজরাত টাইটান্সের। বড় রান পাননি শুভমান গিল (১৪), ঋদ্ধিমান সাহ (১৪), অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ারা (৫)। ৫৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তবে রান রেট ভালো ছিল গুজরাতের। সেখান থেকে দলের ইনিংসের রাশ ধরেন সাই সুদর্শন ও ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে নামা বিজয় শংকর। দুজন নিলে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করে এগিযে নিয়ে যান স্কোর বোর্ড। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। ১০৭ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২৯ রান করে আউট হন বিজয় শংকর।

এরপর ম্যাচে ফেরারর চেষ্টা করলেও ডেভিড মিলার দলে ফিরেই নিজের কিলার ব্যাটিং শুরু করেন। সাই সুদর্শনও চালিয়ে যান নিজের ইনিংস। অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। অপর দিকে গত মরসুমের মতই একের পর এক মারকাটারি শট খেলে দলের টার্গেট সহজ করে দেন ডেভিড মিলার। ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ৬২ ও ১৬ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন দুজন। আর টানা দুই জয় পেয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকল গুজরাত টাইটান্স।

(Feed Source: news18.com)