দিল্লিগামী Go First Flight। সেই বিমানের নানা অব্যবস্থা নিয়ে একেবারে চটে লাল আইএএস সোনাল গোয়েল। এই সস্তার বিমান পরিষেবার কী তিন অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে একের পর এক টুইট করেছেন তিনি। তাঁর মতে প্রায় দু ঘণ্টা দেরি করে মুম্বই থেকে বিমানটি ছেড়েছিল। এরপর একাধিক অব্য়বস্থার অভিযোগ করেছেন তিনি।
তিনি টুইটারে ছবিও পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে যাত্রীরা বিমানের মধ্যেই অপেক্ষা করছেন। তাঁর মতে, বিমানের তরফে বলা হয়েছিল ক্যাপ্টেন অন্য ফ্লাইটে গিয়েছেন।
প্রথম টুইটে তিনি লিখেছিলেন, অপ্রত্যাশিত ও যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতি গো ফার্স্ট এয়ারওয়েজের। ফ্লাইট নম্বর জি৮ ৩৪৫ মুম্বই থেকে দিল্লি যাওয়ার কথা। প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে চলছে এই বিমান। তার উপর বিমানের মধ্য়ে আটকে রয়েছেন যাত্রীরা। এয়ারলাইন্সের স্টাফরা বলছেন ক্যাপটেন অ্যাভেলেবল নন।
এদিকে এরপর গো ফার্স্ট এয়ারলাইন্স এজন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। তারা টুইটের জবাবে লেখেন আমরা সময়ে ফ্লাইট ছাড়ার জন্য কঠিন পরিশ্রম করি। কিন্তু মাঝেমধ্যে অভাবিত কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। দুঃখিত এটা এই ফ্লাইটের সঙ্গে হয়েছে। আপনার প্রত্যাশা পূরণের জন্য আমরা সবরকম চেষ্টা করছি।
এরপর গোয়েল লেখেন কখন ফ্লাইট ছাড়বে তার কোনও ঘোষণা নেই। কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল, কারা এর জন্য দায়ী সেটা দয়া করে দেখুন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শিশু, বয়স্ক মানুষদের কেন ফ্লাইটে তোলা হল। ক্যাপ্টেনই যেখানে নেই সেখানে কেন তাঁদের প্লেনের মধ্যে তোলা হল। ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট দেরি কিন্তু দেওয়া হচ্ছে শুধু জল।
এদিকে ত্রিপুরা ভবনের রেসিডেন্ট কমিশনার লেখেন, ফ্লাইটের মধ্যে থাকা কর্মীরা বলতেই পারছেন না ক্যাপ্টেন কখন আসবেন। এভাবে কি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলতে পারে? কোনও পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ব নেই।
এদিকে সিভিল এভিয়েশন মিনিস্টার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে ট্যাগ করেও একাধিক টুইট করা হয়। তিনি লেখেন, কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন অন্য বিমানে গিয়েছেন। সেকারণে অন্য ক্যাপ্টেন তাঁরা জোগাড় করছেন। এটা তো অপেশাদারিত্ব। দেশের নাগরিকরা এই ধরনের অপেশাদার মনোভাব আশা করে না। একের পর এক টুইট বিমান সংস্থাকে নিশানা করে। সেই সঙ্গেই বিমান সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
(Feed Source: hindustantimes.com)