কলকাতা: তিনি শুধু সুদক্ষ অভিনেত্রী নন, কবিও বটে। যারা দীপ্তি নাভাল কে চেনেন বা তাঁর খোঁজ রাখেন তাঁরা সকলেই হয়তো জানেন অভিনয়ের পাশাপাশি দীপ্তি নাভালের কবিতার বই রয়েছে এবং তিনি সময়ে অসময়ে ছবিও আঁকেন। কলকাতায় আগেও দীপ্তি এসেছেন, তাঁর বই থেকে কবিতার পাঠকও কম নেই। বহু মানুষে পছন্দ করেন তাঁর লেখা। বহু কবিতার বাংলা অনুবাদও হয়েছে। সাহিত্য প্রেমী মানুষ মুগ্ধ হয়েছে তাঁর পাঠ শুনে।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় হাজির হন দীপ্তি নাভাল। কবি অনন্য চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার বই প্রকাশ অনুষ্ঠানেই দেখা মিলল তাঁর।এদিন রিলিজ হল অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার বই ‘বেয়ার রুট অন স্প্লিন্টার্ড গ্লাস’ ( Barefoot on splintered glass)। দীপ্তির হাত দিয়েই প্রকাশিত হল এই কবিতার বই। সঙ্গে ছিলেন আরেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র।
এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশি-বিদেশি বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। লেখিকা অনন্যার বই থেকে পছন্দের একটি কবিতাও পাঠ করেন দীপ্তি। তিনি জানান, ” কবিতা আমাকে বড্ড বেশি টানে। ওই দুই- আড়াই পাতার ভাঁজে জীবনের অনেক দর্শন তুলে রাখা যায়। মানুষ মন খারাপ হলে কবিতা লেখে, একাকিত্বে কবিতা লিখে, পাওয়া না পাওয়ার মাঝে কবিতা লেখে। আমি আমার অবসর সময়ে কবিতা লিখি। কবিতা আমার বড়ই আদরের লালন পালন করা জীবনের একটি অংশ। তবে আমি গদ্যও লিখি।”
দীপ্তি নাভাল আরও জানান, ” এ শহরের সঙ্গে এক সেতুবন্ধ ছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ‘মেমোরিজ ইন মার্চ’ ( Merories in March) ছবিতে আমি অভিনয় করেছি। তখন থেকেই ঋতুর সঙ্গে এক আত্মিক যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল। আমি এই শহরে এক মাস থেকেছি শুটিংয়ের সময়। সেই সঙ্গে ‘ Merories in March’ এর শুটিংয়ের সময় প্রতি মুহূর্তে ঋতুর সঙ্গে আমার হৃদ্যতা বেড়েছে। এখন কলকাতায় এলে ঋতুর কথা মনে পড়ে এবং আমার মন সত্যি খুব খারাপ হয়ে যায়। নানা কাজে, কলকাতায় আসি এবং এই শহর আমার খুব কাছের। তবে এখন যখন আসি সব কাজের মাঝেই সব ব্যস্ততার মধ্যেই ঋতুপর্ণ ঘোষকে বারবার মনে পড়ে। আজও তাঁকে মনে পড়ছে। এই দেখুন না আপনাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও কোথাও যেন মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে।”
কয়েকদিন পরই মাদার টেরিজাকে নিয়ে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ফের দেখা মিলতে পারে দীপ্তি নাভালের এমনই আশ্বাস দিয়ে গেলন অভিনেত্রী নিজেই।