IPL-এ তাণ্ডব চালিয়েও আক্ষেপ রাহানের, বোঝা গেল, ভারতের টেস্ট জার্সি তাঁর কত প্রিয়

IPL-এ তাণ্ডব চালিয়েও আক্ষেপ রাহানের, বোঝা গেল, ভারতের টেস্ট জার্সি তাঁর কত প্রিয়

টসের আগে জানতে পেরেছেন চেন্নাই তাঁকে মাঠে নামাচ্ছে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। অজিঙ্কা রাহানে সুযোগের অপেক্ষায় যে ওৎ পেতে বসেছিলেন, সেটা বোঝা যায় তাঁর ব্যাটিং দেখেই। ম্যাচের শেষে রাহানে জানাতে কুণ্ঠা বোধ করেননি যে, তিনি নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন যাতে সুযোগ এলেই কাজে লাগাতে পারেন।

মইন আলি সুস্থ নন বলে ওয়াংখেড়েতে মাঠে নামতে পারেননি। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিচক্ষণ ক্যাপ্টেন ভালোভাবেই জানেন, কোথায় কোন ক্রিকেটারকে কীভাবে ব্যবহার করে হবে।

রাজ্যদলের হয়ে ওয়াংখেড়েতে বহু ম্যাচ খেলেছেন অজিঙ্কা। মুম্বইয়ের হয়ে গত ঘরোয়া মরশুমে বিস্তর রানও পেয়েছেন। সুতরাং, ঘরের মাঠে খেলতে নামলে রাহানে যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবেন, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ধোনির। শেষমেশ রাহানেকে নামানোর মাস্টারস্ট্রোকটাই চেন্নাইয়ের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে।

অজিঙ্কা মাত্র ১৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৬১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন তিনি। হাতের তালুর মতো চেনা ওয়াংখেড়েতে তাণ্ডব চালিয়ে তৃপ্ত রাহানে। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। কেননা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে যেরকম ব্যাট করেন, তাতে চেন্নাইয়ের পক্ষে পরের ম্যাচগুলিতে তাঁকে বসিয়ে রাখা মুশকিল হবে। তার উপর চলতি আইপিএলের দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।

প্রাপ্তির ভাঁড়ার কার্যত পূর্ণ। তা সত্ত্বেও তৃপ্তির মাঝে আক্ষেপের কথা শোনা গেল রাহানের গলায়। ম্যাচের শেষে অজিঙ্কা যে কথাগুলো বলেন, তাতে স্পষ্ট বোঝা যায় তাঁর আসল উদ্দেশ্য কী। আসলে ওয়াংখেড়েতে কখনও টেস্ট ম্যাচ না খেলার হতাশাই ঝরে পড়ে রাহানের গলায়।

অজিঙ্কা বলেন, ‘ওয়াংখেড়েতে খেলা আমার ভীষণ পছন্দের। আমি খুব ভালো করে চিনি এই মাঠকে। তবে এখানে কখনও টেস্ট খেলা হয়নি আমার। ওয়াংখেড়েতে অন্তত একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে চাই।’

রাহানের কাছে জাতীয় দলের টেস্ট জার্সি কত প্রিয়, সেটা স্পষ্ট বোঝা যায় তাঁর কথাবার্তায়। এটাও বোঝা যায় যে, আইপিএলের পারফর্ম্যান্স দিয়েই তিনি জাতীয় দলে ফিরতে মরিয়া।

অজিঙ্কা এও স্পষ্ট করে দেন যে, বাকিদের মতো উদ্ভাবনী শট খেলার কথা কখনও ভাবেন না। কেননা তাঁর খেলার ভিত্তিই হল স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় শট। সেটাই তাঁর আসল শক্তি।

রাহানের কথায়, ‘আমার ঘরোয়া মরশুমটা দারুণ কেটেছে। নেটেও ভালো ব্যাট করছিলাম। আমি শুধু স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় শট খেলার চেষ্টা করি। ওটাই আমার শক্তি। বাকিদের মতো স্লগ শট খেলাটা আমার কাজ নয়। টাইমিং আর বলের কাছে পৌঁছনোর দিকে নজর থাকে আমার। সব মিলিয়ে, এই ইনিংসটি দারুণ উপভোগ করেছি।’

(Feed Source: hindustantimes.com)