রেফ্রিজারেট ছাড়া সংসার করা বর্তমানে প্রায় অসম্ভব। আসলে গত তিন দশকে একটু একটু করে ভারতীয় সমাজে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছে এই বৈদ্যুতীন যন্ত্রটি। এতে দীর্ঘক্ষণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ করা সম্ভব। নির্দিষ্ট শীতলতায় ফ্রিজ ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না খাবারে।
সমস্ত বৈদ্যুতীন যন্ত্রে মতো এরও কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি ঘটে। তবে তা থেকে বাঁচার উপায়ও রয়েছে। আমরা প্রায় সকলেই লক্ষ্য করেছি, ফ্রিজ চালু থাকলে অনেক সময় একটা শব্দ হয়। প্রতি এক বা দুই মিনিট পর খট খট শব্দ হতে পারে। আসলে ভোল্টেজ ঠিক না থাকলে ফ্রিজের কম্প্রেসার চালু হয় না। তখন এধরনের শব্দ হতে পারে। অন্য কারণও থাকতে পারে।
কানেকশনের গোলমাল:
অনেক সময় কানেকশনের গোলমাল বা ‘লুজ কানেকশন’ থাকলেও ফ্রিজে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হয়। তখন খট খট শব্দ হতে পারে। প্লাগ-ইন পয়েন্ট অনেক সময় পুড়ে যায়, তার ফলে লুজ কানেকশন হতে পারে। অবিলম্বে সেখানে মেরামতি করিয়ে নিতে হবে।
ওভারলোড প্রোটেক্টর-এ ক্ষতি:
রেফ্রিজারেটরের ওভারলোড প্রটেক্টর থাকে যা, কম্প্রেসারের ওভারলোডিং-এর সময় তাকে নিরাপত্তা দেয়, যাতে কম্প্রেসর জ্বলে না যায়। প্রোটেক্টরের ক্ষতি হলে কম্প্রেসারে কট কট শব্দ হতে পারে। এমন হলে তা বদলে ফেলাই ভাল।
ভুল গ্যাসের মিশ্রণ:
ফ্রিজ থেকে কট কট শব্দ হওয়ার অন্য কারণও থাকতে পারে। ভুল গ্যাসের মিশ্রণও এর জন্য দায়ী হতে পারে। ধরা যাক যদি R-12 গ্যাসের ফ্রিজে R-134 গ্যাস দেওয়া হয়, তাহলে চড়চড় শব্দ হতে পারে, ঠিক যেমন গরম তেলে জল পড়লে হয়।
কনডেন্সার কয়েল:
ফ্রিজের পিছনে একটি লোহার জাল থাকে, এটি কনডেনসার কয়েল। এর স্ক্রু আলগা হয়ে গেলেও ফ্রিজে শব্দ হতে পারে। আবার কয়েল পাইপ ফ্রিজের শরীরের সঙ্গে লেগে যেতে পারে, তখন এর কম্পনের ফলেও আওয়াজও হতে পারে।
ফ্রস্ট ফ্রিজ ফ্যান:
অনেক সময় কুলিং কয়েলে বেশি বরফ জমতে শুরু করে। তার ফলে কিছু বৈদ্যুতীন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা থেকেও শব্দ হতে পারে।
কম্প্রেসার ভুল মাউন্ট:
কম্প্রেসারের ভুল ফিটিংও-এর কারণেও শব্দ হতে পারে। কম্প্রেসার বদলের সময় দেখা যায়, চারটি মাউন্টিং বোল্ট ঠিক নেই। এজন্যও ফ্রিজ থেকে শব্দ হতে পারে।