বৃষ্টির অভাবে কমেছে উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরো বাজারে অগ্নিমূল্য সবজি

বৃষ্টির অভাবে কমেছে উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরো বাজারে অগ্নিমূল্য সবজি

তাপমাত্রার ওঠানামা এবং বৃষ্টির অভাবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির উৎপাদন কমে গিয়েছে। এর ফলে পাইকারি ও খুচরো বাজারে সবজির দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ সবজি যেমন বেগুন, করলা, ঢ্যাঁড়স প্রভৃতির দাম বেড়ে কেজি প্রতি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকার কাছাকাছি। সবজি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত বছর এই সময়ে প্রায় সব গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ছিল প্রতি কেজিতে ৪০ টাকার কাছাকছি। তবে এবার তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে বেগুনের সরবরাহ ব্যাপকভাবে কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বেঙ্গল ভেন্ডরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানান, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এ বছর সবজির উৎপাদন প্রায় ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। এর ফলে চাহিদা ও সরবরাহে বিশাল ব্যবধান তৈরি হয়েছে। এর আগে কখনও এই ধরনের সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছেন এক সবজি চাষি। তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপমাত্রার ওঠানামা এবং বৃষ্টির অভাব রাজ্যে সবজি উৎপাদনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধানের ফলে দাম বেড়েছে। কমল দে জানান, বেশিরভাগ গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজি ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। যার ফলে বিক্রেতারা বেশি পরিমাণে সবজি কিনতে চাইছে না। কারণ দিনের শেষে সবজি বিক্রি না হলে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, এর আগে এক সময় বৃষ্টিপাতের অভাবে সবজির দাম বেড়ে গিয়েছিল। হাইব্রিড জাতের সবজির উপর এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি।

কৃষি বিভাগের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাংলায় সবজি উৎপাদন ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা উৎপাদন ও দামের ওপর নজর রাখছি। বৃষ্টির ঘাটতি দূর করতে সরকার জমিতে সেচের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে।’

(Feed Source: hindustantimes.com)