Rinku Singh| Shah Rukh Khan: আনন্দে আত্মহারা শাহরুখ! নিজেকে মুছে পাঠানের পোস্টারে রিঙ্কুর মুখ জুড়লেন KKR মালিক…

Rinku Singh| Shah Rukh Khan: আনন্দে আত্মহারা শাহরুখ! নিজেকে মুছে পাঠানের পোস্টারে রিঙ্কুর মুখ জুড়লেন KKR মালিক…

Rinku Singh, KKR, Shah Rukh Khan, KKRvsGT, IPL2023, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক ওভারে পাঁচটা ছয়, রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডারের ২৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার রিঙ্কু সিং। এক কথায় যাকে বলে তীরে এসে ডুবতে থাকা তরীকে ভাসিয়ে পাড়ে নিয়ে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের এই লড়াকু ক্রিকেটার। এদিনের প্রতিপক্ষ গুজরাত টাইটান্সের রশিদ খানের অসাধারণ হ্যাটট্রিকও এদিন দাম পেল না রিঙ্কুর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সামনে। একদিকে ম্যাচের শেষে যেমন আবেগে ভাসলেন ক্রিকেটার সেরকমই আবেগে ভাসলেন কেকেআরের মালিক শাহরুখ খান। রিঙ্কুকেই বানিয়ে দিলেন ‘পাঠান’।

এদিন ম্যাচের শেষে ‘পাঠান’-এর পোস্টারে শাহরুখ নিজের মুখ সরিয়ে বসিয়ে দিলেন রিঙ্কুর মুখ। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘ঝুমে জো রিঙ্কু!! আমার বেবি রিঙ্কু, নীতিশ, ভেঙ্কটেশ তোমরা সত্যিই সুন্দর। মনে রেখো আর এগুলো সব বিশ্বাস কর। শুভেচ্ছা কেকেআরকে। ভেঙ্কি মাইসোর নিজের হৃদয়ের খেয়াল রাখবেন স্যার’। ভেঙ্কি মাইসোর হলেন কেকেআর টিমের সিইও। শাহরুখের বার্তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি নিজেও যথেষ্ট টেনশন নিয়েই খেলা দেখেছেন। পাশাপাশি রিঙ্কুর প্রতি এই আস্থা ও ভালোবাসা দেখানোয় শাহরুখে মুগ্ধ নেটপাড়া। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে এই ছবি।

রিঙ্কু সিং ম্যাচের পর বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল যে, আমি এটা করতে পারি। রানা ভাই বলেছিল নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে, শেষপর্যন্ত ব্যাট করে যেতে। তারপর দেখা যাবে কী হবে। আমি শুধু ছয় হাঁকানোর চেষ্টা করে গিয়েছি। উমেশ ভাই বলেছিল, বেশি কিছু না ভেবে বল বুঝে খেলে যেতে। ফলে বেশি কিছু ভাবছিলাম না। বল বুঝে প্রতিক্রিয়া দিয়েছি। বল একদম ব্যাটের মাঝে আসছিল। আমার নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। শেষে সেটা বুঝতে পারলাম।’

এদিন ২০৪ রান তাড়া করতে নেমে, ৪০ বলে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৮৩ রানের ইনিংস খেলেন। যা অনেকদিন মনে থেকে যাবে ফ্যানদের। আটটি চার ও পাঁচটি ছয় হাঁকান তিনি। ভেঙ্কটেশ যখন ফেরেন, তখন কলকাতার স্কোর চার উইকেট হারিয়ে ১৫৪। তবে ১৭ নম্বর ওভারে এসে রশিদ একাই কামাল করে দেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার। পরপর তিন বলে তুলে নেন তিন উইকেট। আন্দ্রে রাসেল (১), সুনীল নারিন (০), শার্দূল ঠাকুর (০) হন রশিদের শিকার। চলতি আইপিএলের প্রথম হ্যাটট্রিক এল রশিদের সৌজন্যে। এরপরেই এই ম্যাচ কেকেআরের হাত থেকে বেরিয়ে যায়। এমনটাই ভেবে নিয়েছিলেন সকলে। কিন্তু সব হিসেব বদলে দিলেন রিঙ্কু। শেষ ৬ বলে কেকেআরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৯ রান। রিঙ্কু টানা পাঁচটি ছয় মেরে সব হিসেব বদলে দেন। যশ দয়াল ভাবতে পারেননি যে বল হাতে তাঁর এমন দুর্দিন আসতে চলেছে।

(Feed Source: zeenews.com)