সইফ আলি খান নন, এই অভিনেতাকে বিয়ে করতে মরিয়া হয়েছিলেন অমৃতা সিং

সইফ আলি খান নন, এই অভিনেতাকে বিয়ে করতে মরিয়া হয়েছিলেন অমৃতা সিং

ছোটে নবাবের প্রেম কাহিনি

এখন ছোটে নবাব সইফ আলি খানের সঙ্গে করিনা কাপুরের নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকলেও আসলে কিন্তু ৯০-এর দশকের অন্যতম হিট পাওয়ার কাপল ছিলেন সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং। অমৃতার প্রতি সইফের ভালোবাসা ছিল ‘লাভ ইন আ ফার্স্ট সাইট’। অর্থাৎ একবার দেখেই অমৃতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন ছোটে নবাব। দুজনের নিকট বন্ধুরা এখনও মজা করে বলেন, অমৃতা সিং এবং সাইফ আলি খানের প্রেম ছিল প্রথম দেখার প্রেম। দুজনেই একে অপরকে দেখেছেন, দ্বিতীয় দেখায় হৃদয় দিয়েছেন এবং তৃতীয় দেখায় বিষয়টি বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছেছে। আর বাকিটা ইতিহাস।

 অমৃতা সিং-এর লাভ লাইফ

অমৃতা সিং-এর লাভ লাইফ

কিন্তু সইফ আলি খানের সঙ্গে নিকাহ করলেও অমৃতা সিং-এর প্রথম ভালোবাসা মোটেই ছিলেন না তিনি। বরং এর আগে বলিউডে অমৃতা সিং-এর লাভ লাইফ সম্পর্কে নানা গুজব উঠেছিল। তার মধ্যে একটি হল বলিউডের দাদা জ্যাকি শ্রফকে নাকি মন দিয়েছিলেন অমৃতা। মূলত ‘আইনা’ সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দুজনে। সেই ফিল্ম সুপারহিট হয়। পর্দায় নেগেটিভ চরিত্র হলেও বাস্তবে সকলে জ্যাকি অমৃতা জুটি বেশ পছন্দ করেন। আর সেই থেকেই জ্যাকির প্রতি আকৃষ্ট হন অমৃতা। কিন্তু এই ঘটনা যে গুজব তা পরিষ্কার করেন জ্যাকি নিজেই, কারুন তিনি বরাবরই ভালোবাসেন তাঁর স্ত্রী আয়েশাকে।

'জানে ক্যয়া বাত হ্যায়'

‘জানে ক্যয়া বাত হ্যায়’

‘বেতাব’ ছবি দিয়ে বলিউডে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র সানি দেয়ওল। এটি ছিল তাঁর প্রথম চলচ্চিত্র যেখানে অমৃতা সিং-এর সঙ্গে তিনি জুটি বেঁধেছিলেন। ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ হিট হয়েছিল এবং দুজনের জুটিও ছিল সুপারহিট। শোনা যায় যে এই ছবির শুটিং চলাকালীন অমৃতা ও সানি একে অপরকে হৃদয় দিয়েছিলেন এবং প্রেম শুরু করেছিলেন। এরপর ‘সানি’ ছবিতেও একসঙ্গে অভিনয় করেন দুজনে। যে সিনেমার ‘জানে ক্যয়া বাত হ্যায়’ গানটি এখনও সমান জনপ্রিয়। তখন চলছিল দুজনের ভালোবাসার সফর। কিন্তু তারপরই অমৃতা সানির জীবন সম্পর্কে এমন কিছু জানতে পারেন যে তিনি এই সম্পর্ক থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।

বিবাহিত ছিলেন সানি

বিবাহিত ছিলেন সানি

আসলে, সেই সময় সানি দেওল বিবাহিত ছিলেন এবং তিনি এই বিষয়টি ইন্ডাস্ট্রির সবার কাছ থেকে গোপন করেছিলেন। সানির বিয়ে একটি অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ছিল এবং বিয়ের পর তাঁর স্ত্রী পূজা দেয়ওল বিদেশে থাকেন যাতে সানির বিয়ের খবর তাঁর অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের আগে জানাজানি না হয়। এবং তাই শুটিং থেকে বিরতি পেলেই স্ত্রীর কাছে চলে যেতেন সানি। অমৃতা পরে বিষয়টি জানতে পেরে সানির ঘর ভাঙতে চাননি। তাই এই সম্পর্ক থেকে আলাদা হয়ে যান।

সাইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং ১৯৯১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুজনের এই লাভ ম্যারেজের মধ্যে পরিবারের সম্মতি খুব একটা অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে বিয়ের পরে পরিবারের সদস্যরা সকলেই এই সম্পর্ক মেনে নিয়েছিলেন। দুজনের কন্যা সারা আলি খান জন্ম নেন ১৯৯৫ সালে। এবং এর কিছু বছর পর ২০০১ সালে জন্ম নেন তাঁদের পুত্র ইব্রাহিম আলি খান। কিন্তু ২০০৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় বলিউডের একদা এই পাওয়ার কাপলের। দুজনের সম্পর্ক বেশিদিন না টিকলেও এখনও চর্চা হয় অমৃতা সিং-এর প্রেম ও বিবাহিত জীবন নিয়ে।

(Source: oneindia.com)