
কোন বিপক্ষ দলের প্লেয়ার নন। বরং সহকারী রেফারি সজোরে বিপক্ষের প্লেয়ারকে কনুই দিয়ে মেরে বিতর্কে জড়িয়েছেন। এই নিয়য়ে তোলপাড় ইংলিশ ফুটবল। ভাবছেন এ আবার কেমন আজব ঘটনা! এমনটাই ঘটেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুল বনাম আর্সেনাল ম্যাচে।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঘটে অভাবনীয় এই ঘটনাটি। লিভারপুল খেলোয়াড় অ্যান্ডি রবার্টসন অভিযোগ করেন, ম্যাচের সহকারী রেফারি কনস্ট্যান্টাইন হাজিতদাকিস তাঁকে কনুই দিয়ে সজোরে মেরেছেন। আর তার জেরে শাস্তি পেতে হচ্ছে লাইন্সম্যানকে।
আসল ঘটনা, অ্যানফিল্ডে রেফারির প্রথমার্ধের বাঁশি বাজানোর পরেই বল নিয়ে রেফারি পল টিয়ারনির দিকে যাচ্ছিলেন সহকারী ম্যাচ রেফারি কনস্ট্যান্টাইন হাজিতদাকিস। এই সময় রেফারির সামনে ছুটে যান লিভারপুলের ডিফেন্ডার অ্যান্ডি রবার্টসন। হঠাৎ-ই তর্কের এক পর্যায়ে সহকারী রেফারি কনস্ট্যান্টাইনের হাত ধরে ফেলেন রবার্টসন। সেটি ছাড়াতেই কনুই চালিয়ে দেন হাজিতদাকিস। তাতে রবার্টসনের ঠোঁটে সজোরে আঘাত লাগে।
রবার্টসন সঙ্গে সঙ্গেই রেফারির কাছে অভিযোগ করেন এই নিয়ে। এমন কী লিভারপুল দলে তাঁর সতীর্থেরাও রেফারির সঙ্গে বচসায় জড়ান। তবে এই ঘটনায় হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে রবার্টসনকেই।
তা বলে লাইনসম্যান হাজিতদাকিস কিন্তু ছাড় পাচ্ছেন না। তদন্তের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁকে। এএফপি জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এফএর অধীনে সব ম্যাচ থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে হাজিতদাকিসকে।
প্রিমিয়ার লিগের রেফারি কমিটি বলেছে, ‘প্রিমিয়ার লিগের রেফারি কমিটি এফএ-র তদন্তের সময়ে সব ম্যাচ থেকে হাজিতদাকিসকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। আর্সেনাল–লিভারপুল ম্যাচে অ্যান্ডি রবার্টসনের সঙ্গে ঝামেলার জেরে হাজিদাকিসের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে।’
ম্যাচের সময়ে রবার্টসনের দিকে কনুই মারার ঘটনাটি টেলিভিশন সম্প্রচারের সময়ে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে হাজিতদাকিসের ক্যারিয়ার বিপাকে পড়ে যাবে। এই বিষয়ে রেফারি কমিটির প্রাক্তন প্রধান কেইথ হ্যাকেট বিবিসি রেডিয়োকে বলেছেন, ‘হাজিতদাকিস যদি এই ঘটনায় দোষীয় প্রমাণিত হন, তা হলে তাঁর রেফারিং ক্যারিয়ার সমস্যায় পড়তে পারে।’
রবার্টসনের দিকে হাজিতদাকিস কনুই চালানোর বিষয়টি উল্লেখ করে হ্যাকেট আরও বলেন, ‘আমাদের বের করতে হবে তিনি কেন কনুই চালালেন! তিনি কি কোনও কারণে ভীত ছিলেন? আমার মনে হয়, কনুই চালানোটা তাঁর উচিত হয়নি। কারণ, তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কোনও কমতি ছিল না। তিনি এমন ভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, যেটা তাঁর করা উচিত হয়নি। এখানে রেফারির কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না, আলোচনা হচ্ছে খোদ রেফারিকে নিয়ে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)