মহাজাগতিক টমেটো চেখে দেখবেন বিজ্ঞানীরা, মহাশূন্যে ফলানো ফসলের ঝাঁপি আজই পৌঁছচ্ছে পৃথিবীতে

মহাজাগতিক টমেটো চেখে দেখবেন বিজ্ঞানীরা, মহাশূন্যে ফলানো ফসলের ঝাঁপি আজই পৌঁছচ্ছে পৃথিবীতে

নয়াদিল্লি: পৃথিবীর বাইরে, সৌরজগতের অন্য়ত্র বসতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছেই। কিন্তু জনবসতি গড়ে তোলার আগে প্রয়োজন জল, বাতাস, খাবারের (Space Science)। ঢের আগেই সেই প্রয়োজনীয়তা বুঝেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তাই মহাশূন্যে ফসল ফলানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন। সেই প্রচেষ্টার ফল হাতেনাতে চেখে দেখতে এ বার আরও এক কদম এগোলেন বিজ্ঞানীরা। মহাশূন্যে ফলানো টমেটোর ঝাঁপি এ বার নামিয়ে আনা হচ্ছে পৃথিবীর বুকে (Space Tomatoes)।

ফসল ফলানোর কাজে হাত দেয় আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা

শুধুমাত্র পৃথিবীর বাইরে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলাই নয়, মাসের পর মাস মহাশূন্যে পড়ে থাকেন যে মহাকাশচারীরা, তাঁদের তাজা ফলমূল, শাক-সবজি জোগানোর তাগিদও ছিল। আবার পৃথিবীতে সামান্য আয়োজনে খাদ্যাভাব দূর করার উপায় বার করাও ছিল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই মহাশূন্যে ফসল ফলানোর কাজে হাত দেয় আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের গ্রিন হাউসে তিন দফায় বীজ বোনা হয় টমেটোর।

তবে শুধু ফসল ফলালেই হল না, তার গুণাগুণও পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন। সেই মতো ফ্রিজারে রেখে দেওয়া হয়। পরীক্ষা করা হয় মহাশূন্যে উৎপাদিত টমেটোর পুষ্টিগুণ। এ বার সেই টমেটো নামিয়ে আনা হচ্ছে পৃথিবীর বুকে। এক কেজি বা দু’কেজি নয়, টমেটোর পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় বিজ্ঞানীদের হাতে যা যা এসেছে, সবমিলিয়ে ২০০০ কেজির পণ্য মহাশূন্য থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশ গবেষণায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরির সংস্থা SpaceX CRS-27 মালবাহী মহাকাশযান ওই সব সামগ্রী পৃথিবীতে নামিয়ে আনছে। ১৫ এপ্রিল মহাশূন্য থেকে পৃথিবীর বুকে এসে নামবে ওই মালবাহী মহাকাশযান। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে আপাতত মজুত রাখা হবে সেগুলি। সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যাবেন বিজ্ঞানীরা।

মহাশূন্যে ফলানো ফসল চেখে দেখবেন বিজ্ঞানীরা!

মহাশূন্যে ফলানো টমেটোর পাশাপাশি আর যে যে সামগ্রী পৃথিবীতে এসে পৌঁছচ্ছে, সেই তালিকায় রয়েছে, জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির তৈরি স্ফটিক। ওই স্ফটিক সৌরশক্তি উৎপাদন এবং বৈদ্যুতিন সামগ্রী তৈরিতে কাজে লাগবে। এ ছাড়াও মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে ধমনীর বয়স সংক্রান্ত একটি গবেষণা চালাচ্ছে কানাডার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। তার কিছু নমুনাও নামিয়ে আনা হচ্ছে পৃথিবীতে।

(Feed Source: abplive.com)