গরমে ৭-৮ ঘণ্টা পাখা না চালিয়ে রেওয়াজ করেন এই গায়িকা!

গরমে ৭-৮ ঘণ্টা পাখা না চালিয়ে রেওয়াজ করেন এই গায়িকা!

কলকাতার পারদ নামার বিন্দুমাত্র নাম নেই। সে ঊর্ধ্বমুখী। সকলকে জ্বালিয়ে গ্রীষ্মের প্রখর তেজের টের পাইয়ে দিচ্ছে। এসি তো ছেড়েই দিন, সামান্য ফ্যানের তলা থেকে সরা যাচ্ছে না পর্যন্ত। আর তার মধ্যেও নাকি পাখা না চালিয়ে থাকেন তিনি। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ফ্যান না চালিয়ে রেওয়াজ করেন। কে বলুন তো তিনি? সারেগামাপা খ্যাত গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত।

মেখলা দাশগুপ্ত একটি পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান তিনি বাড়িতে থাকলে নাকি অনেক সময়ই পাখা চালান না। গায়িকা অ্যাডিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার একটা অভ্যাস আছে। আমি যখন বাড়িতে থাকি তখন অধিকাংশ সময়ই আমি ফ্যান না চালিয়েই থাকি।’ তবে ঘরে যতই পাখা না চালিয়ে থাকুন না কেন, গাড়িতে উঠলে এসি তাঁর চাই! কিন্তু দুই জায়গায় দুইরকম চাহিদা না অভ্যাস কেন? বিশেষ করে এই জ্বালাপোড়া গরমে বাড়িতে ফ্যান না চালিয়ে তিনি থাকেন কীভাবে? উত্তরে গায়িকা বলেন, ‘আমি পাখা চালাতে পছন্দ করি না কারণ পাখার আওয়াজ। পাখার ঘড়ঘড় শব্দে অনেক সময় অন্য কেউ কি বলছে শুনতে পাই না। ধরুন ফোনে কথা বলছি তখন এই শব্দে উল্টো দিকের মানুষটা কী বলছেন সেটাই শুনতে পাই না। এছাড়া আমি তো আগে যখন বাড়িতে রেওয়াজে বসতাম তখন তখন পাখা বন্ধই রাখতাম। পাখা চালালে তানপুরার তার ঢিলে হয়ে যায়। তাই রেওয়াজের ওই সাত আট ঘণ্টা আমি ফ্যান চালাতাম না। আর সেই থেকে আমার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে ফ্যান না চালিয়ে থাকা। এখনও এই অভ্যাস বজায় আছে।’

তবে গরমে ফ্যান না চালিয়ে থাকলেও যতই কষ্ট পান না কেন শীত কিন্তু একদম সহ্য করতে পারেন না তিনি। অল্প শীতেই নাকি কাবু হয়ে যান তিনি। তাঁর মতে এই গোটা বিষয়টাই মানসিক ব্যাপার। সঙ্গে অভ্যাস। তবে তাঁর কথায় তিনি যত গরম পড়ুক না কেন ফ্যান বা এসির বদলে প্রকৃতির হাওয়া খেতেই পছন্দ করেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)