রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বাংলায় আসছেন শাহ, বাংলাদেশ লাগোয়া জেলায় করবেন জনসভাও

রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বাংলায় আসছেন শাহ, বাংলাদেশ লাগোয়া জেলায় করবেন জনসভাও

নির্বাচন এলেই বিজেপির বাঙালিয়ানা ফুটো ওঠে। ২০১৯ ও ২০২১ সালের আগে তা দেখা গিয়েছে। এবার ২০২৪ সালের আগেও ফের একবার বিজেপির বাঙালিয়ানা দেখা যেতে শুরু করেছে। এই আবহে চৈত্র সংক্রান্তিতে বঙ্গ সফরের পর ফের একবার রবীন্দ্র জয়ন্তীতে বাংলায় পা রাখতে পারেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে কলকাতায় এসে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যেতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সে দিন পশ্চিমবঙ্গে একটি জনসভাও করবেন তিনি। তবে সেই জনসভার স্থান, কালের বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি দলের তরফে। তবে শোনা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদ এবং কৃষ্ণনগরের ওপর নজর রেখেই এই জনসভা হবে। তাই এমন কোথাও এই জনসভা হতে পারে য়াতে দুই জেলার মানুষই তাতে যোদ গিতে পারেন।

জানা গিয়েছে, ভোটপ্রচারের জন্য ৭ মে কর্ণাটকে যাওয়ার কথা অমিত শাহের। কর্ণাটক থেকে সরাসরি ৮ মে বাংলায় আসার কথা শাহের। এরপর ৯ তারিখ রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কলকাতায় কর্মসূচি থাকবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এর আগে সংক্রান্তিতে বাংলায় এসে বীরভূমে সভা করেছিলেন শাহ। সেই সভা থেকে ২০২৪ সালের জন্য ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের মতো ২০২৪ সালেও ক্ষমতা ধরে রাখতে পূর্ব ভারত বিজেপির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্ষেত্রে শুধু আসন সংখ্যা বৃদ্ধি নয়, বিরোধীদের দুর্বল করাও তাদের লক্ষ্য। বাংলা থেকে বিজেপি যত ভালো ফল করবে, বিরোধীদের আসন সংখ্যা ততটাই কমবে। এই আবহে বাংলার ওপর বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছেন শাহ। এদিকে নির্বাচনের আগে ফের একবার সিএএ মন্ত্র সজাগ করে মতুয়াদের নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া হবে বিজেপিও। এই আবহে বাংলাদেশ লাগোয়া জেলায় জনসভা করে সেখানে সিএএ নিয়ে শাহ কোনও বার্তা দেন কিনা, সেদিকে নদর থাকবে সবার।

উল্লেখ্য, এর আগে দিল্লিতে গিয়ে বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা সিএএ নিয়ে দরবার করে এসেছিলেন শাহের কাছে। মনে করা হয়েছ্ল, সংক্রান্তি সফরে সিএএ নিয়ে কোনও বার্তা দিতে পারেন শাহ। তবে সেই নিয়ে কোনও শব্দ খরত করেননি শাহ। তবে ২০২৪ সালের অঙ্ক মেলাতে মতুয়ারা যে এক বড় ভূমিকা পালন করবে, তা ভালো মতোই জানা আছে শাহের। এই আবহে সিএএ ইস্যুকে হাতিয়ার করতে চাইবে বিজেপিও। একদিকে বাঙালিয়ানা, অপরদিকে বাংলাদেশ লাগোয়া জেলার মতুয়াদের আবেগ, এই দুইকে কাজে লাগিয়েই বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

(Feed Source: hindustantimes.com)