বহরমপুর পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া মেটানোর দাবি জানিয়ে আসছেন। এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। সেই সংক্রান্ত মামলায় অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মীদের বেতন মেটাতে রাজ্যকে পুরসভার দেনা মেটানো নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইল হাইকোর্ট। কীভাবে সেই বকেয়া মেটানো যাবে সেই পথ বাতলে দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত। বহরমপুর পুরসভায় রাজ্যের ২৪৭টি সম্পত্তি রয়েছে। যার মধ্যে ১৭০টি সম্পত্তিতে কর বাবদ ১১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা মিটিয়ে দিলেই অবসরপ্রাপ্ত পুরকর্মীদের বকেয়া মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
এই বকেয়া মেটানোর বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যকে তা জানাতে হবে। পুরসভার আইনজীবী অরিন্দম দাস আদালতে বলেন, রাজ্য ওই টাকা মিটিয়ে দিলে তা কর্মীদের বকেয়া মেটানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। বছরের পর বছর ওইসব সম্পত্তির কর বাবদ টাকা বকেয়া রয়েছে রাজ্যের কাছে। ফলে পুরসভার আয় বাড়ছে না।
প্রসঙ্গত, পুরসভার প্রায় ৫০০ জন অবসরপ্রপ্ত কর্মী বকেয়া গ্র্যাচুয়িটি না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগে বহরমপুর পুরসভায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের একাংশ হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলায় বহরমপুর পুরসভার তরফে হাইকোর্টে জানানো হয়, এত সংখ্যক কর্মীর বকেয়া মেটানোর মতো টাকা তাদের কাছে নেই। রাজ্যের কাছে পুরসভার অনেক টাকা বকেয়া রয়েছে। সেই টাকা মেটাচ্ছে না রাজ্য। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, পুরসভার কর্মীরা তাদের কর্মী নয়। তারপরেও তারা পেনশনের ৪০ শতাংশ পুরসভাগুলিকে ওই বাবদ মেটায়। কিন্তু গ্র্যাচুয়িটি বাবদ টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর হাইকোর্ট রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে। শুধু বহরমপুরই নয়, রাজ্যের বহু পুরসভার কয়েক হাজার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী চরম সমস্যায় পড়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। এদিন পুরসভা রাজ্যের কাছে বকেয়া সংক্রান্ত হিসেব আদালতের কাছে পেশ করে। সেই হিসেব দেখেই হাইকোর্ট তাদের কাছের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যের অবস্থান জানতে চায়। ওই টাকা দিয়ে পুরসভা অবসপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া মেটাবে বলে আদালতে জানায়।
(Feed Source: hindustantimes.com)