Cristiano Ronaldo: মেয়ে আর মেয়ে… কিছুই বুঝতেন না ‘শিকারি’ রোনাল্ডো, ফোন নম্বরের জন্য বেচেছেন গাড়ি!

Cristiano Ronaldo: মেয়ে আর মেয়ে… কিছুই বুঝতেন না ‘শিকারি’ রোনাল্ডো, ফোন নম্বরের জন্য বেচেছেন গাড়ি!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং সিপি-তে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo) তাঁর সিনিয়র কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। সালটা ২০০২-০৩। মাত্র একটা মরসুম ওখানে কাটিয়েই তিনি এই বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিলেন যে, পেলে-মারাদোনাদের লিগে ঢোকার মতো কেউ চলে এসেছে। ২০০৩-০৯ পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে খেলে রোনাল্ডো হয়ে উঠলেন ফুটবল নক্ষত্র। এরপর ২০০৯-১৮ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদে খেলে তিনি হয়ে যান ফুটবল গ্রহের সর্বকালের অন্যতম সেরা।

এখন যে রোনাল্ডোকে দেখা যায়, সেই রোনাল্ডো আমূল বদলে গিয়েছেন। একেবারে পারিবারিক তিনি। বান্ধবী জর্জিনা রডরিগেজ (Georgina Rodriguez) ও সন্তানদের নিয়ে চুটিয়ে জীবনযাপন করছেন। তবে ম্যান ইউ-তে শুরুর দিনগুলোয় রোনাল্ডো ছিলেন অত্যন্ত রঙিন। ‘প্লেবয়’ ও ‘ক্যাসানোভা’র মতো শব্দগুলি জুড়ে গিয়েছিল তাঁর সঙ্গে। ফুটবলের বাইরে তাঁর জীবন বলতে ছিল শুধু মেয়ে আর মেয়ে। এর বাইরে কিছুই বুঝতেন না রোনাল্ডো। একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সিআর সেভেন। তার কোনও হিসেব নেই। তালিকা শেষ হবে না। গায়িকা থেকে নায়িকা হয়ে মডেল। তাবড় সেলেবরা ফ্ল্যামবয়েন্ট ফুটবলারের সঙ্গে জুড়ে যেতেন। আর রোনাল্ডো মেয়েদের পছন্দ করেই, তাঁদের ফোন নম্বরের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতেন। এমনকী রোনাল্ডো ফোন নম্বর পাওয়ার জন্য তাঁর বহুমূল্যের পর্সেও বিক্রি করেছেন হাফ দামে। আর এমনই জানিয়েছেন ম্যান ইউয়ের প্রাক্তন ম্য়াসিওর রড থ্রনলে।

রড এক ইউটিউব সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিলে মরসুম শেষ হলেই রোনাল্ডো রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেবে। এটা সবাই জানতাম আমরা। রোনাল্ডো একদিন এক্স ফ্যাক্টর দেখতে দেখতে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল একটি মেয়ের ব্যাপারে। মেয়েটি ছিলেন পুসিক্যাট ডলস-এর কিমবার্লি ওয়েট। রোনাল্ডো বলেছিল, তুমি কি কিমর্বালির নম্বর আমাকে জোগাড় করে দিতে পারবে? আমি ওকে বলি যে, আচ্ছা আমি তো সব জায়গা থেকে তোমাকে মেয়েদের ফোন নম্বর জোগাড় করে এনে দিই। কিন্তু এর বিনিময়ে আমি তো কিছুই পাই না! রোনাল্ডো তখন বলে, তুমি কি আমার গাড়িটা পছন্দ কর? ও তখন পর্সে ক্যারেরা কনাভার্টিবল চালাত। আমি বলেছিলাম হ্যাঁ ভালোলাগে। রোনাল্ডো তখন বলে, আমি যখন রিয়াল মাদ্রিদে যাব, তখন হাফ দামে তোমাকে এই গাড়ি বিক্রি করে দেব। আমি ১০ মিনিটে রোনাল্ডোকে কিমবার্লির নম্বর দিয়েছিলাম। এরপর মরসুম যখন শেষ হয়ে আসে, আমি তখন রোনাল্ডোকে বলি, আমাদের চুক্তিটা মনে আছে তো! তুমি তোমার কথাটাই মানবে তো? রোনাল্ডো বলে হ্যাঁ। এরপরের দিনই আমি রোনাল্ডোর থেকে ৬০ গ্রান্ডের গাড়িটি ৩০ গ্রান্ডে কিনেছিলাম।’ রড জানিয়েছেন যে, শুধু কিমবার্লির নয় রোনাল্ডো পাগল হয়ে গিয়েছিলেন কাইলি মিনো, ড্যানি মিনোদের নম্বরের জন্যও। পরে রোনাল্ডো তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ডেটও করেন।

(Feed Source: zeenews.com)