জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্লোবাল ওয়ার্মিং দিনে দিনে অ্যালার্মিং হয়ে উঠছে। আজ ২২ এপ্রিল ‘ওয়ার্ল্ড আর্থ ডে’, তথা বসুন্ধরা দিবস। এহেন দিনে প্রকৃতির বৈষম্য, বৈপরীত্য বিপত্তিগুলো যেন বেশি করে চোখে পড়ে, বেশি করে উঠে আসে আলোচনায়। এমন একটি দিনকে স্মরণীয় করে তুলতে চেয়েছে গুগলও। তারা এদিনের জন্য একটি বিশেষ ডুডল করেছে। সেটি দিয়েই তারা পালন করছে বিশ্ব পৃথিবী দিবস।
এদিন সারা পৃথিবী জুড়ে নানা আয়োজন থাকে দিনটিকে স্মরণ করার। নানা আলোচনাচক্র, সভা হয়। আয়োজনে থাকে কোনও প্রকৃতি সংসদ, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়, কোনও সংগঠন। কী ভীবে এই ক্রমশ গরম হয়ে ওঠা পৃথিবীকে রক্ষা করা যায়, কী ভাবে তাকে আবার শ্যামল-স্নিগ্ধ করে তোলা যায় এ নিয়ে নানা পদক্ষেপের কথা চর্চ হয়। সবটাই ঘটে বিষয়টির প্রতি সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করার জন্য। গুগলও ঠিক সেই কাজটাই করেছে। এই জন সচেতনতা কীসের জন্য প্রয়োজনীয়? গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের সঙ্গে লড়াই করার জন্য।
মানুষ কী করবে? মানুষকে বুঝতে হবে, তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোনও ছোট একটা পরিবর্তনের কী গভীর প্রভাব বিশ্বের প্রকৃতিতে পড়ে! জীবনযাপন পদ্ধতি এখন দিনে দিনে এত জটিল হয়ে পড়ছে যে, মানুষ অনেক সময়েই পরিবেশের কথা মাথায় রাখতে পারছে না। ফলে অজান্তে প্রকৃতির অনেক ক্ষতি ঘটে যাচ্ছে।
সকলের আগে প্রকৃতিতে ভালোবাসতে হবে। মানুষ যখনই ভাববে যে, সে যে-পৃথিবীকে রেখে যাচ্ছে, তা আগামী প্রজন্মের পক্ষে মোটেই ভালো নয়, সুখকর নয়, তখনই তার মনে ভিন্ন ভাবনা উঠবে। এই দিনগুলির তাই একটাই গুরুত্ব। কিছু রেজোলিউশন নেওয়া। প্রকৃতিকে, এই সবুজশ্যামল প্রকৃতিকে, এই আকাশ-জল-মাটিকে, এই আদিগন্ত পরিবেশকে আমরা আপ্রাণ রক্ষা করব, একে কোনও ভাবে দূষিত করব না– এমন একটা শপথ নেওয়া খুবই জরুরি। সেটা ঘটলেই পৃথিবী আবার ধীরে ধীরে সুস্থ সুন্দর স্নিগ্ধ মধুর হয়ে ওঠার সুযোগ পাবে। কিন্তু সেটা সময়সাপেক্ষ।
(Feed Source: zeenews.com)