বজ্রপাত হবে কী না আগাম জানতে কতটা কার্যকর দামিনী, কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ?

বজ্রপাত হবে কী না আগাম জানতে কতটা কার্যকর দামিনী, কীভাবে কাজ করে এই অ্যাপ?

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: এক দিনে রাজ্যে বজ্রপাতের ঘটনায় একাধিক জনের মৃত্যু নিয়ে চিন্তায় আবহাওয়াবিদরা ৷ আগাম সতর্কতা হিসাবে দামিনী অ্যাপ চালু করা হলেও, তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

প্রাথমিকভাবে দামিনীর সতর্কতা পরিধি ২০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ হলেও, সার্বিকভাবে ৪০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত বাজ পড়ার ন্যূনতম আশঙ্কা আছে কিনা, তাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দামিনী জানিয়ে দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপ ব্যবহারকারী নিজের লোকেশনে বসে দামিনী অ্যাপ নিজের ফোনে খুললে অ্যাপ দেখিয়ে দিচ্ছে, আগামী এক ঘণ্টায় কোথাও কোনও বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে কিনা। যেই মুহুর্তে সম্ভাবনা তৈরি হবে, সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ ওপেন করুন বা না করুন, আপনার স্ক্রিনে দামিনী অ্যাপ ক্রমাগত অ্যালার্ট পাঠাতে শুরু করবে। তবে শর্ত একটাই, অ্যাপ ব্যবহারকারীকে ফোনের ডেটা অন রাখতে হবে। এবং আপনার জিপিএস অন রাখতে হবে। ব্যাস তাহলেই নিরন্তর সতর্ক করার দায়িত্ব দামিনীর।

স্থানীয় বজ্রপাতের ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট আগে এই অ্যাপ ক্রমাগত গ্রাহককে অ্যালার্ট দিতে থাকে। তবে সেক্ষেত্রে গ্রাহককে সম্ভাব্য বজ্রপাতের এলাকার ২০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে থাকতে হবে। তবে এই ২০ কিলোমিটার বৃত্তের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বাজ পড়বে সেই পারফেকশন এখনও পর্যন্ত তৈরি করা যায়নি।

২০১৯ সালের নভেম্বরে Indian Institute of Tropical Meteorology পুণে এবং ভারত সরকারের Earth System Science Organisation দামিনী নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে। বজ্রপাতের আগাম সতর্কতার অ্যালার্ট দেওয়াই এই অ্যাপের অন্যতম প্রধান কাজ। মোবাইল গ্রাহকের ইউজার লোকেশন অন থাকলে তবেই এই অ্যাপ কাজ করে। গুগল প্লে স্টোর থেকে যেকোনও অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারি এই অ্যাপ ডাউনলোড এবং ব্যবহার করতে পারেন। এখনও পর্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এটাই সর্বাধিক কার্যকরী বজ্রপাত সতর্কতা অ্যাপ।

ঠিক কোথায় বাজ পড়বে, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে ঝড়বৃষ্টির মতো বজ্রপাতের পূর্বাভাস এখানে পাওয়া যেতে পারে। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ট্রপিক্যাল মেটিরিয়োলজি (আইআইটিএম) এবং আর্থ সায়েন্স সিস্টেম অর্গানাইজেশন (এসো)-এর বাজ চিহ্নিতকরণ সেন্সর বসানো হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতরে। রামপুরহাট, দার্জিলিঙেও এই সেন্সর বসানো হয়েছে।

তবে অনেকেই মোবাইলের ডেটা অন রাখছেন না ৷ এ ছাড়া অ্যাপ্লিকেশনের কিছু ত্রুটিতে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকেই ৷

(Feed Source: news18.com)