SBI-এর এই শাখা খোলা থাকে মাত্র ৪-৫ মাস!

SBI-এর এই শাখা খোলা থাকে মাত্র ৪-৫ মাস!

পিথোরাগড়, উত্তরাখণ্ড: বাড়ির কাছেই ব্যাঙ্কের শাখা খুঁজি আমরা সবাই। জরুরি প্রয়োজনে যাতে কাজ সামলানো যায় সহজে। কিন্তু ভারতের শেষ প্রান্তে যে ব্যাঙ্কের শাখাটি রয়েছে, সেটি সারা বছর খুলে রাখাই যায় না। বছরে মাত্র ৪-৫ মাস কাজকর্ম হয়।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রান্তিকতম শাখাটি রয়েছে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে চিন সীমান্ত সংলগ্ন গুঞ্জি গ্রামে। আবহাওয়ার কারণেই এই শাখা বছরে মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস খোলা থাকে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গুঞ্জিতে অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থনীতির ধরন গিয়েছে বদলে। ফলে এলাকার মানুষের সারা বছরই ব্যাঙ্কের প্রয়োজন হয়। সমস্যা সেখানেই। একটি কুঁড়েঘরে SBI-এর এই শাখাটি শুধুমাত্র গ্রীষ্মের সময় কাজ করে, খুব বেশি হলে ৪-৫ মাস। মানস সরোবর তীর্থযাত্রী এবং একই সঙ্গে ভারত-চিন বাণিজ্যে যুক্ত ব্যবসায়ীদের কাছে নগদ কারবারের মূল মাধ্যম এই ব্যাঙ্ক। এখন ব্যাঙ্কও বন্ধ, মানস সরোবর যাত্রাও।

ধারচুলার পরে লিপুলেখ সড়কে এটিই একমাত্র ব্যাঙ্ক। কিন্তু এখানে এখনও ইন্টারনেটের সংযোগ নেই। ফলে এই শাখাটি উপভোক্তাদের পরিষেবা দিতে পারছে না সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।

তবে ব্যাঙ্কের নিজস্ব সার্ভার স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে। তাই লেনদেন প্রভাবিত হয় না। এখানে রয়েছেন তিনজন কর্মচারী। তাঁরা অক্টোবর পর্যন্ত ওই শাখায় কাজ করেন। তারপর ধারচুলায় ফিরে এসে সেখানকার শাখায় কাজ করেন। আবার জুন মাস নাগাদ গুঞ্জিতে ফিরে গিয়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করবেন। তখন সেখানে চলবে ব্যাঙ্কের কাজ-কারবার, অক্টোবর পর্যন্ত।

স্থানীয় বাসিন্দা নৃপ সিং গারবিয়াল জানান, সীমান্তের এই শেষ ব্যাঙ্কে সব রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় না। ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে এখানকার মানুষকে ধারচুলা যেতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এতদিন যেমন-তেমন করে হলেও এখন আর চলছে না। এবার এখানে স্থায়ী ব্যাঙ্ক শাখার দাবি তুলছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, গুঞ্জি ছাড়াও নাভি, নাপালচুয়, কুটি, রনকাং, গারব্যাং গ্রামের বাসিন্দারা সরাসরি SBI-এর এই শাখার সঙ্গে যুক্ত। সেনা, আইটিবিপি এবং এসএসবি-র সৈন্যরাও এই শাখা থেকে পরিষেবা পান।

পরিস্থিতি বদলেছে—

আসলে আগে ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা এত ছিল না। কারণ, গুঞ্জি ও সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দারা মাত্র ৬ মাস উঁচু পার্বত্য এলাকায় বসবাস করেন। কিন্তু বর্তমানে সীমান্ত রক্ষীরা সারা বছরই থাকেন। তাই সারা বছরই ব্যাঙ্কিংয়ের প্রয়োজনীয়তা থাকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা, সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ার পর এই এলাকায়া সারা বছর ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং পরিষেবা দেওয়া হবে।

(Feed Source: news18.com)