প্রয়োজন নেই এসি-র! তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রিতে উঠলেও ঘর থাকবে বরফের মতো শীতল

প্রয়োজন নেই এসি-র! তাপমাত্রার পারদ ৫০ ডিগ্রিতে উঠলেও ঘর থাকবে বরফের মতো শীতল

কলকাতা: তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে প্রায় গোটা দেশ। তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রির কাছেই ঘোরাফেরা করছে। ফলে সিলিং ফ্যানের হাওয়া যেন গায়ে লাগছে না! মনে হচ্ছে যেন আগুন ঝরাচ্ছে ফ্যানের হাওয়াও! এই অবস্থা থেকে বাঁচতে তাই এসি অপরিহার্য হয়ে উঠছে। কিন্তু সকলেরই যে এসি কেনার ক্ষমতা রয়েছে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। আসলে এসি-র তো অনেক দাম! এই পরিস্থিতিতে এমন একটা উপায় আছে, যেখানে এসি-র মতো ঠান্ডা হাওয়া খাওয়া যাবে। অথচ বেশি টাকাও খরচ করতে হবে না। তাহলে কথা না বাড়িয়ে ঢুকে পড়া যাক প্রসঙ্গে।

এসি-র বদলে অনেকেই কুলার ব্যবহার করেন। কারণ কুলার খুবই সস্তা। কিন্তু মুশকিল হল, এসি-র মতো ঠান্ডা হাওয়া কুলারে পাওয়া যাবে না। তবে কয়েকটি উপায়ে কুলার থেকেও এসি-র মতো ঠান্ডা হাওয়া পাওয়া সম্ভব। কীভাবে?

কুলার দিয়ে ঘর ঠান্ডা করতে চাইলে সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ এই উপায়টি অবলম্বন করতে হবে। এর জন্য কুলারটিকে এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেখান থেকে খোলা বাতাস আসে। যেমন – জানালা কিংবা দরজার কাছে। আবার রুম কুলারের পরিবর্তে উইন্ডো কুলারও ব্যবহার করা যেতে পারে। উইন্ডো কুলারের ক্ষেত্রে কুলারের ফ্যানের অংশটি শুধুমাত্র ঘরের দিকে থাকে। বাকি কুলারটা বাইরের দিকে থাকে। যার ফলে আর্দ্রতা ছাড়াই ঘর ভাল পরিমাণ ঠান্ডা হাওয়ায় ভরে যায়। আর মজার ব্যাপার হল, উইন্ডো কুলার কিন্তু রুম কুলারের তুলনায় অনেক সস্তায় পাওয়া যায়।

কুলার থেকে এসি-র মতো ঠান্ডা হওয়া পেতে চাইলে কুলারের জলে বরফ দিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কুলারের ট্যাঙ্কে জল রাখার সময় কয়েক টুকরো বরফও সেখানে দিয়ে রাখতে হবে। কুলারের ট্যাঙ্কের জল বরফের জন্য ঠান্ডা হবে। আর এই ঠান্ডা জল যখন পাইপের মধ্য দিয়ে যাবে ও কুলারের প্যাডগুলি ভিজিয়ে দেবে, তখন ঠান্ডা বাতাস বেরিয়ে আসবে। এই কৌশলটি সেই সমস্ত অঞ্চলের জন্য খুব কার্যকর, যেখানকার তাপমাত্রা ৪৫-৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যেমন – দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান, পঞ্জাব প্রভৃতি রাজ্য। এই উপায়ের সাহায্যে ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে এবং ঠান্ডা-ভাব অনেকটা সময় ধরে স্থায়ী হবে। এছাড়া বরফের পরিবর্তে কুলারের ট্যাঙ্কে ঠান্ডা জল অথবা বরফের প্যাডও রাখা যেতে পারে।

কুলারের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য প্রথমে জল ঢেলে নিয়ে তার পর কুলারের মোটর চালাতে হবে। এর ফলে কুলারের প্যাড ভিজে যাবে। এক বার প্যাড ভিজে যাওয়ার পরে ফ্যান চালু হলে তা কুলারের থেকে নির্গত গরম বাতাসের হাত থেকে রক্ষা করবে।

এ তো গেল ঠান্ডা বাড়ানোর কৌশলের কথা! এছাড়াও বছরের পর বছর ধরে কুলার ভাল রাখার জন্য তা সঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। এটি নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এর পাশাপাশি কুলিং প্যাডগুলির দিকে নজর দিতে হবে। কুলিং প্যাডগুলি মাঝেমধ্যে প্রতিস্থাপন করা উচিত। কারণ এর মধ্যে ধুলো-ময়লা আটকে সেগুলি ভারী হয়ে যায়। তার ফলে ঠান্ডা করার ক্ষমতা বজায় থাকলেও বায়ু প্রবাহ হ্রাস পায়।

(Feed Source: news18.com)