প্রোমোটারের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের গন্ডগোল, তারপর যা যা হল যেন হিন্দি সিনেমা

প্রোমোটারের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের গন্ডগোল, তারপর যা যা হল যেন হিন্দি সিনেমা

কলকাতা: রবিবার দুপুর থেকে বেলেঘাটা এলাকায় যেন একেবারে মিনি যুদ্ধের মত পরিস্থিতি। অভিযোগ,বেলেঘাটা এলাকার প্রভাবশালী প্রোমোটার রাজু নস্করের অফিস আক্রমণ করে, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের লোকজন। বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় গণ্ডগোল। সেই গণ্ডগোলে দুপক্ষের আহত হয় মোট তিনজন। এর মধ্যে একজনের থাইয়ের পেছনের দিকে গুলি লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায়।পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

আসলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গণ্ডগোল চলছে। রাজু নস্কর স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল ঘনিষ্ঠ। তার গণ্ডগোল, স্থানীয় কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস ও তাঁর বাবা তৃণমূল নেতা অলোক দাসের সঙ্গে। অলোক বাবুর দাবি রাজু নস্করের মাথার ওপর হাত থাকার জন্যই,সে নাকি এলাকায় সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে।

একদিন আগে বাপি দাশগুপ্ত নামে একজনকে বেধড়ক মারধর করেছিল,রাজুর লোকেরা।সেই রাগ সামলাতে না পেরে রাজুর অফিস আক্রমণ করেছিল অলোক দাস ঘনিষ্ঠ পার্টির ছেলেরা। রাজুর পেছনের রেকর্ড ভাল নয়। বেশ কয়েক বছর যাবৎ প্রমোটিং করে প্রচুর টাকা রোজগার করেছে সে । সঙ্গে প্রচুর ছেলে রয়েছে তার অধীনে৷  যার জন্য ভোট এলেই রাজনৈতিক নেতারা তাঁকে ব্যবহার করে ভোটের তরণী পার হয়। সেই সুযোগে রাজু নস্কর এলাকায় অবৈধ প্রমোটিং থেকে আরম্ভ করে, ভয়ের সঞ্চার তৈরি করে রেখেছে। নিজের ওয়ার্ডে কাউন্সিলারের গুরুত্ব কমছে। কাউন্সিলরের সেই রাগ বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ছিল।

এদিনের ঘটনায় পুলিশ রাজু নস্করের অফিসের ভেতর থেকে একটি সেভেন এমএম আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে । সঙ্গে গুলির খোলো উদ্ধার করেছে। ঘটনার সময় নাকি রাজু নস্কর চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। তবে পুলিশ দুপক্ষের ২২ জনকে গ্রেফতার করেছে । তাদেরকে আজকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ছয় মে অবধি পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।  তবে রাজু নস্কর এখনো পলাতক। তাকে হন্যে হয়ে পুলিশ খুঁজছে। টিংকু দাস নামে যে লোকটির গুলি লেগেছে। তিনি পুলিশের কাছে বয়ান দিয়েছে, রাজু নস্কর তাকে গুলি করেছে।

 (Feed Source: news18.com)