অক্সিজেনের হদিশ, চাঁদের মাটি থেকে জীবনদায়ী রাসায়নিক বের করল NASA-র দল

অক্সিজেনের হদিশ, চাঁদের মাটি থেকে জীবনদায়ী রাসায়নিক বের করল NASA-র দল

নয়াদিল্লি : চাঁদের বাতাসহীন ‘জগতে’ রয়েছে অক্সিজেন (Oxygen)। এমনই দাবি করছে নাসার (NASA) বিজ্ঞানীদের একটি দল। কারণ, চাঁদের মাটি থেকে জীবন- ধারণকারী উপাদান খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। নতুন এই খোঁজ চাঁদে একটি দীর্ঘ মিশন চালানোয় সাহায্য করতে পারে।

জনসন স্পেস সেন্টারের বিজ্ঞানীরা একটা খোলামেলা জায়গায় চাঁদের কৃত্রিম মাটি থেকে অক্সিজেন বের করেন। যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের চাঁদের সম্পদ ব্যবহারের পথকে প্রশস্থ করতে পারে। তাঁদের দাবি, এই অক্সিজেন শুধুমাত্র শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে লাগবে তা-ই নয়, পরিবহনের জ্বালানিও হিসাবেও ব্যবহার করা যাবে।

বিজ্ঞানীরা যে নির্যাসটি বের করেছেন সেটি কার্বোথার্মাল রিডাকশন ডেমোনস্ট্রেশনের অংশ। যা চাঁদের মতোই পরিবেশে পরিচালিত হয়েছে। বিশেষ গোলাকার একটি চেম্বার তৈরি করে এই ধরনের কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। যে চেম্বারের ব্যাস ১৫ ফুট। এই চেম্বারটিকে বলা হচ্ছে, Dirty Thermal Vacuum Chamber। কার্বোথার্মাল রিডাকশন ডেমোনস্ট্রেশনের প্রোজেক্ট ম্যানেজার অ্যারন পাজ এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই প্রযুক্তিটি চন্দ্রপৃষ্ঠে প্রতি বছর অক্সিজেনের নিজস্ব ওজনের কয়েকগুণ উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে।

দলটি সৌরশক্তি কনসেনট্রটর থেকে তাপ উৎপাদন করার জন্য একটি উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন লেজার ব্যবহার করেছিল। নাসার জন্য তৈরি করা কার্বোথার্মাল চুল্লির মধ্যে চাঁদের মাটি গলানো হয়। কার্বোথার্মাল রিঅ্যাক্টর হল- অক্সিজেন উত্তপ্ত ও নিঃসরণ করার প্রক্রিয়া। মাটি উত্তপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দলটি মাস স্পেকট্রোমিটার অবজারভিং লুনার অপারেশনস নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার করে কার্বন মনোক্সাইড শনাক্ত করে।

এনিয়ে কার্বোথার্মাল রিডাকশন ডেমোনস্ট্রেশনের এক অধিকর্তা আনাসতাসিয়া ফোর্ড এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের দল প্রমাণ করেছে CaRD চুল্লি চন্দ্র পৃষ্ঠে টিকে থাকবে এবং সফলভাবে অক্সিজেন বের করবে। এটি অন্যান্য গ্রহে মানবঘাঁটি তৈরির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

এই সন্ধানটি নাসার গবেষণার ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক। যারা Artemis-II মিশনের ঘোষণা করেছে। Artemis-III-র মাধ্যমে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এদিকে অ্যাপোলো মিশন শেষে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ক্রিস্টিনা কোচ, ভিক্টোর গ্লোভার, রিড ওয়াইজম্যান ও জেরেমি হানসেন- ই সেই মানুষ যাঁরা ৫০ বছরের বেশি সময় পর চাঁদে ফিরতে চলেছেন।

এই চার জ্যোতির্বিজ্ঞানী Artemis-II  মিশনের সঙ্গে জড়িত। যাঁরা পরের বছরের শেষ দিকে চাঁদের চারপাশে ঘুরে আসবেন। প্রসঙ্গত, এই Artemis মিশনটি চাঁদে মানুষকে নামানোর পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গলের দিকে এগনোর আগে একটি ওয়ার্ক বেস তৈরি করাও লক্ষ্য এই মিশনের।

(Feed Source: abplive.com)