খাস কলকাতায় রাতের বেলায় এক বন্ধু খুন করল আর এক বন্ধুকে। মদ্যপান করার সময় দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা হয়। তারপর এই বচসা থেকেই সরাসরি খুন। রাতের কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকায় এমন খুনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন বাসিন্দারা। মদের আসরেই দুই বন্ধুর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। আর নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকতে গিয়েই একে অন্যকে খুনই করে ফেলল। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ আর একজনকেও গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ১১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশদ্রোণী থানার দীনেশ নগর এলাকায় বসেছিল মদ্যপানের আসর। সেখানে এক নারী আলোচনায় উঠে আসলেই শুরু হয় ঝামেলা। এই নারী কে? সেটা অবশ্য জানা যায়নি। তবে দু’জনেই ওই নারীকে পেতে চেয়ে বচসা শুরু করে। তখন মদের নেশায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে একজন অপরজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর পকেট থেকে ছুরি বের করে সোজা গেঁথে দেওয়া হয় এক বন্ধুর পেটে। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে একজন। আর অপরজন সেখান থেকে চম্পট দেয়।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রসেনজিৎ দাস। রিজেন্ট পার্ক থানার দক্ষিণ আনন্দ পল্লীর বাসিন্দা। টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ায় লাইটের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রসেনজিৎ। তাঁকে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধু কৌশিক বাড়ুই গ্রেফতার হয়েছে। কৌশিক ও প্রসেনজিতের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে বচসা বাধে। আর তখনই কৌশিক প্রসেনজিৎকে ছুরি মেরে খুন করে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রসেনজিৎকে উদ্ধার করে অন্য বন্ধুরা এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই খুনের ঘটনার পর প্রসেনজিতের পরিবারের সদস্যরা বাঁশদ্রোণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় কৌশিক বাড়ুইকে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই খুনের ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। বাঁশদ্রোনী থানার পুলিশ এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত কৌশিক বাড়ুই–সহ আরও এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের বাবা বলেন, ‘আমরা শুনলাম ছেলেটাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। আমরা হাসপাতালে পৌঁছে দেখি মৃত। ওরা বন্ধুরা মিলে খাওয়া–দাওয়া করছিল। ওদের মধ্যে কী নিয়ে ঝগড়া হয়েছে জানি না। শুনলাম আমার ছেলেকে ছুরি মেরে দিয়েছে।’
(Feed Source: hindustantimes.com)