সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট সিবিআই-এর, আরও বিপাকে মানিক

সুপ্রিম কোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট সিবিআই-এর, আরও বিপাকে মানিক

নয়াদিল্লি: প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া রিপোর্টে মানিক ভট্টাচার্যের নাম উল্লেখ করল সিবিআই। কীভাবে তিনি প্রাথমিকে নিয়োগে মানিক ভট্টাচার্য নিজের ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়েছেন, তার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের রিপোর্টে।

সূত্রের খবর, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে  মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে অত্যন্ত প্রভাবশালী ছিলেন। তাঁর নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দেশে সমস্ত বৈঠক হয়েছে প্রাথমিক বোর্ডে। বাকিরা যন্ত্রের মতো ছিলেন এবং তাঁরা মানিক ভট্টাচার্যের সিদ্ধান্তে সহমত হতে বাধ্য হতেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী তদন্তে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার দু’ বার মানিক ভট্টাচার্যের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছিল। আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রত্যেক চাকরি প্রার্থীকে অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়ার কারণেই চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, সিবিআই দাবি করেছে, যে বৈঠকে এই অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেখানে উত্তর ২৪ পরগণা এবং মুর্শিদাবাদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, উর্দু মাধ্যমের দু’ জন প্রার্থী বাংলা ভাষায় টেট পরীক্ষার উত্তীর্ণ হতে না পারলেও তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এসবের পিছনে মানিক ভট্টাচার্যের হাত রয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই।

গত ফেব্রুয়ারিতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে৷

গত ২৫ জানুয়ারি প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত৷ সেই জরিমানা সময়ে না জমা দেওয়ার জন্যই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত৷ আদালত বলেছে, ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা জমা না করলে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত থাকবে৷ ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থী সাহিলা পারভিন তথ্যের অধিকার আইনে ওএমআর শিট চেয়ে আবেদন করেন৷ নির্ধারিত টাকা দিয়েই তিনি সেই আবেদন করেছিলেন৷ তাঁর অভিযোগ, যথাযথ ওএমআর শিট তাঁকে দেয়নি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ৷ সেই কারণেই তৎকালীন পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জরিমানা করে আদালত৷

(Feed Source: news18.com)