নয়াদিল্লি: এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। এ বার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলল রাশিয়া। তাদের অভিযোগ, ড্রোন হামলা চালিয়ে সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladmir Putin) খুনের চেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন। সেই ড্রোন দু’টি গুলি করে নামানো হয়েছে বলে ক্রেমলিনের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। এর পাল্টা রাশিয়া প্রতিঘাত হানতে যে কোনও সীমা পেরোতে পারে বলে জানিয়েছে তারা (Russia Ukraine Crisis)।
ক্রেমলিনের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘দু’টি যন্ত্রচালিত ড্রোন পাঠিয়ে ক্রেমলিনের দিকে নিশানা সাধা হয়েছিল (Assassination Attempt on Putin)। সেই দু’টি ড্রোনকেই গুলি করে নামানো হয়েছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই সন্ত্রাসী হামলা চালানোর চেষ্টা হয়। রুশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রসেডিডেন্টকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এর পর আর প্রতিঘাত হানতে বাধা রইল না। সুযোগ বুঝে পাল্টা অভিঘাতে এগোবে রাশিয়া’। উল্লেখ্য, ক্রেমলিনের প্রাসাদেই পুতিনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
মস্কোর তরফে জানানো হয়েছে, হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন পুতিন। আঘাতপ্রাপ্ত হননি তিনি। ক্রেমলিন ভবনেরও ক্ষতি হয়নি। তবে এই হামলা সন্ত্রাসী হামলা বলেই মত রাশিয়ার।
According to Russian media,
two unidentified drones were targeted at the Kremlin last night.
“As a result of their fall and scattering of fragments, there were no victims and material damage. President of Russia was not injured as a result of Ukrainian attack” – Putin’s office… pic.twitter.com/w7Bv1jQzYk
— Anton Gerashchenko (@Gerashchenko_en) May 3, 2023
রাশিয়ার এই দাবির মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ক্রেমলিন ভবনের মূল কাঠামোর পিছনের অংশ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গিয়েছে। ক্রেমলিন ভবনের উল্টো দিকে, মস্কোভা নদীর পাড়ের বাসিন্দারা ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করেন বলে জানা গিয়েছে। পরে সেটি রুশ সংবাদমাধ্যমের হাতে পৌঁছয়। তবে ওই ভিডিও-র সত্যতা যাচাি করেনি এবিপি আনন্দ। মস্কোর মেয়র সেরগেই সোবিয়ানিন আপাতত রাজধানীতে সব ড্রোনের উড়ান নিষিদ্ধ করেছেন। সরকারি ড্রোন হলেও আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে।
তবে এই ঘটনার পরও, ৯ মে মস্কোর রাস্তায় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের নির্ঘণ্টে কোনও পরিবর্তন ঘটানো হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অ্যাডল্ফ হিটলারের নাৎজি বাহিনীকে পরাজিত করার ইতিহাস স্মরণে রাখতেই এই বিজয় দিবস পালিত হয়। তাতে ২ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল। দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতে বিশেষ ভাবে পালিত হয় এই দিনটি।
(Feed Source: abplive.com)