জঙ্গিপুরে হাসপাতাল তৈরিতে অরিজিৎ সিংকে সবরকম সাহায্য, বৈঠকে জানালেন মমতা

জঙ্গিপুরে হাসপাতাল তৈরিতে অরিজিৎ সিংকে সবরকম সাহায্য, বৈঠকে জানালেন মমতা

মালদা: বাংলার ছেলে, তাঁর সুরে এখন সারা দেশ মোহিত। খ্যাতি পেয়েও বরাবর মাটির কাছাকাছিই থাকেন গায়ক অরিজিৎ সিংহ। তাঁর জেলা মুর্শিদাবাদের একটি হাসপাতাল করতে চেয়েছিলেন তিনি। তার জন্য রাজ্যের কাছে সহযোগিতার আবেদনও করেছিলেন। সেই আবেদনেই সাড়া দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গিপুরে অরিজিৎ সিংহের হাসপাতাল তৈরিতে প্রশাসনকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মালদা-মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি।

কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী:
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিপুরে একটি হাসপাতাল করতে চেয়েছে অরিজিত। ওর সঙ্গে কথা বলে করে নাও। তাহলে জঙ্গিপুরের মানুষরা আরও একটি হাসপাতালের সুযোগ পাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিপুরে আরেকটা হাসপাতাল করছে অরিজিৎ। অরিজিৎ বিখ্য়াত গায়ক, ও গ্রামের ছেলে, গ্রামকে ভালবাসে, ও এখন থাকে জিয়াগঞ্জে, জঙ্গিপুরে হাসপাতালটা করছে।’

লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়েও মন্তব্য করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমরা যা প্রকল্প এবং সামাজিক কাজ করেছি তা বিশ্বের কোথাও হয়নি। এখন তো অনেকে করছে আমাদেরটা টুকে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে মেয়েদের জন্য আমি ভবিষ্যতের জন্য একটা সুরক্ষা দিয়ে দিয়েছি। আজ যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন, যেই তাঁদের ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবে তখন তাঁরাই পাবে বার্ধক্য ভাতা। অর্থাৎ সারাজীবনের জন্য একজন মহিলা পকেটমানি পাবেন। সেটা নিশ্চিত করেছি আমরা। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনোর জন্যও সব স্কিম রয়েছে।’ মালদার প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, ‘আগে নিয়ম ছিল স্বাস্থ্যসাথী যার নামে, বাড়ির সেই মহিলাই কেবল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতেন। এখন কিন্তু নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। এখন সবাই পাবে। বাড়ির সব মহিলারাই পেতে পারেন।’

এদিন প্রশাসনিক সভার পরে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বক্তব্য রাখেন তিনি। নানা ইস্যুতে নিশানা করেন দিল্লিকে। তৃণমূলের সংগ্রামের কথাও তুলে ধরেন। মমতা বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস যে সংগ্রাম করেছে, পৃথিবীতে তা আর কেউ করেনি। কৃষি আন্দোলন করে ২৬ দিন জল খাইনি, রাস্তায় পড়েছিলাম ২১ দিন।’

একশো দিনের বকেয়া নিয়েও তোপ:
এদিন নবজোয়ার কর্মসূচির সভা থেকে মমতা বলেন, ‘১০০ দিনের কাজে পরপর ৫ বার দেশে প্রথম হয়েছি, পুরস্কার পেলাম শূন্য। ১০০ দিনের কাজে এক পয়সাও দেয়নি। দিল্লি কিছু না দেওয়া সত্ত্বেও ৪০ লক্ষ মানুষকে কাজ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১০০ দিনের কাজের টাকা চেয়ে বারবার গেছি। গঙ্গাভাঙন রোধ, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য বারবার দরবার করেছি। কিছুই দেয় না, শুধু নেয়।’

(Feed Source: abplive.com)