সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ঘুড়ে দাঁড়াল কেকেআর, কীভাবে এল জয়, রইল সেরা ৫টি কারণ

সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে ঘুড়ে দাঁড়াল কেকেআর, কীভাবে এল জয়, রইল সেরা ৫টি কারণ

হায়দরাবাদ: ডু অর ডাই ম্যাচে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে ফের খানিকটা ঘুড়ে দাঁড়াল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫ রানে হারিয়ে প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা এখনও খোলা রাখল নাইটরা। ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৬ রান করে হায়দরাবাদ। কীভাবে অরেঞ্জ আর্মির বিরুদ্ধে জয় পেল কেকেআর, জয়ের কারণই বা কী? রইল ৫টি কারণ।

প্রথমে ব্যাট করা: এদিন সানরাইজার্সের বিরদ্ধে কেকেআরের জয়ের অন্যতম কারণ হল প্রথমে ব্যাট করা। সাম্প্রতিক কালে বেশির ভাগ ম্যাচেই টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল কেকেআর। কিন্তু সেখানে যদি প্রতিপক্ষ দল বড় রান তুলে দিচ্ছিল তাহলে পরে রান তাড়া করতে গিয়ে চাপে পড়ছিল নাইট ব্যাটাররা। কিন্তু হায়দরাবাদের বড় মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞরা।

রিঙ্কু নীতিশের পার্টনারশিপ: ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে কেকেআর। শুরুটা ভালো না হলেও মিডল অর্ডারে কেকেআরের ইনিংস গড়েন অধিনায়ক নীতিশ রানা ও রিঙ্ু সিং। নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন রিঙ্কু সিং। এছাড়া ৪২ রান করে নীতিশ রানা। দুজনেই বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন। তাদের ৬১ রানের পার্টনারশিপে ভর করেই লড়াই করার মত স্কোরে পৌছোয় কলকাতা নাইট রাইণডার্স।

নীতিশ রানার অধিনায়কত্ব: শেষ কয়েকটি ম্যাচে নীতিশ রানার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। কিন্তু এদিন ভালো অধিনায়কত্ব করেছেন নীতিশ রানা। ব্যাট হাতে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলার পাশাপাশি বোলিং রোটেশন থেকে শুরু করে ফিল্ড প্লেসমেন্ট সবকিছুতেই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নীতিশ। বিশেষ করে শেষ ওভারে শার্দুল ঠাকুরকে বল দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা বরুণ চক্রবর্তীকে দেওয়াটা মাস্টারস্ট্রোক ছিল। কারণ ক্রিজে কোনও ব্যাটার ছিল না। কিন্তু ভুবনেশ্বর কুমার পেস বোলার হলে তার পেসকে কাজে লাগিয়ে রান তুলে নিতে পারত। কিন্তু সেখানে বরুণ চক্রবর্তীর মিস্ট্রি স্পিনে শেষ ওভারে এসেছে মাত্র ৩ রান।

কেকেআরের দলগত বোলিং: এদিন ১৭১ রান ডিফেন্ড করতে নেমে কেকেআরের গোটা বোলিং ইউনিটই ভালো পারফরম্যান্স করে। বিশেষ করে এদিন কেকেআরের পেস বোলিং বিভাগের প্রশংসা করতেই হবে। যা এই মরসুমে দলের অন্যতম দুর্বলতা ছিল। আটোসাটো বোলিং করার পাশাপাশি সকলেই উইকেট পেয়েছে। ২টি করে উইকেট নেন বৈভব অরোরা ও শার্দুল ঠাকুর। একটি করে উইকেট নেন হরশিত রানা ও আন্দ্রে রাসেন। এছাড়া স্পিন বিভাগেও অনুকুল রয় ও বরুণ চক্রবর্তী একটি উইকেট নেন। একমাত্র নারিন উইকেট পাননি।

বরুণ চক্রবর্তীর শেষ ওভার: গোটা ম্যাচে সবথেকে চাপের কাজটা করেছেন বরুণ চক্রবর্তী। শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান ডিফেন্ড করেছেন। টি-২০ ক্রিকেটে ৯ রান করা শেষ ওভারে কোনও বড় বিষয় নয়। সেখানে শেষ ওভাকে আবদুল সামাদ সেট ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মাত্র ৩ রান দেন ওভারে। তার রহস্য স্পিন রহস্যই থেকে যায় সানরাইজার্সের টেলেন্ডারদের কাছে। ৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় কেকেআর।

(Feed Source: news18.com)