দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন দলেরই নেতা,অভিযোগ জানিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভে তৃণমূল নেত্রী

দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন দলেরই নেতা,অভিযোগ জানিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভে তৃণমূল নেত্রী

রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন ! উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েও লাভ হয়নি ! এই অভিযোগে দলের নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে থানার (Police Station) সামনে বিক্ষোভে বসলেন তৃণমূলেরই (TMC) নেত্রী ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। জলপাইগুড়ির মালের এই ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি (BJP)।

কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) ও আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি সেরে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এবার জলপাইগুড়ির মালে চরমে উঠল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (TMC Inner Clash) অভিযোগ। মাল ব্লকের তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতার ও দল থেকে বহিস্কারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভে বসলেন স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী। পাল্টা দলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বিরুদ্ধেও উঠল স্লোগান। তৃণমূলের নেত্রী ও স্থানীয় একটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অভিযোগ, মাল ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদ ওরফে বাবুয়া দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন। এ নিয়ে দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গত ২৯ এপ্রিল ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী। এমনকি ২-৩ দিন আগে অভিযুক্তের বাড়িও ঘেরাও করেন তৃণমূলের নেত্রীর অনুগামীরা।

অভিযোগকারী নেত্রীর বিস্ফোরক অভিযোগ, আমাকে যে কুপ্রস্তাব দিয়েছে, আমি তার বিচার চাইছি। আমাদের সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। আমাদের মা বোনেদের কোনও সুরক্ষা নেই। যদি এরকম একটা ব্লক প্রেসিডেন্ট থাকে। নিজের বউকে মারে। আমাকে যে কুপ্রস্তাব দিয়েছে, সেটা কি আমি মেনে নেব? এটা তো কোনওদিন মানবোই না। যিনি মন্ত্রী আছে বুলুচিক বরাইক, জেলা প্রেসিডেন্ট মহুয়া গোপ কেন ব্যবস্থা নিল না।আমি একজন ট্রাইবাল মহিলা বলে গুরুত্ব দিচ্ছেন না? বাবুয়া গ্রেফতার হোক, দল থেকে বহিষ্কার হোক। যদি এরকম ব্লক প্রেসিডেন্ট হয়, তাহলে কারও সুরক্ষা নেই। পাল্টা মালের তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি সুশীলকুমার প্রসাদ বলেছেন, ‘২০ বছর ধরে রাজনীতি করি। ধর্না দিচ্ছে, ব্লক সভাপতিকে সরাতে হবে। পুলিশ তদন্ত করে আমাকে দোষী পেলে গ্রেফতার করুক। এরা আদিবাসী বিকাশ পরিষদ ও বিজেপি এক হয়ে গেছে। দলে বলতে পারত। থানার সামনে বসে কী হবে’।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের দুই পক্ষের বিবাদ সামনে চলে আসায় কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়। এদিকে, জলপাইগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মহুয়া গোপ বলেছেন, ‘এই সমস্ত ঘটনা দলে কেউ জানায়নি আমায়। যেহেতু মালবাজারের বিধায়ক বুলুচিক বরাইক, আগামী দিনে তার সঙ্গে কথা বলব। এভাবে থানার সামনে বসা ঠিক হয়নি।’

(Feed Source: abplive.com)