জঙ্গলের ভিতর পড়ে মানুষের মাথার খুলি। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা এমন দৃশ্য দেখেই ছুটে যান গ্রামে। তারপর খবর যায় পুলিশে। উদ্ধার হয়, নয় টুকরো দেহাবশেষ। জঙ্গলে মিলেছে রক্ত মাখা পোশাক, মাথার চুল, মোটর বাইকের চাবি। হাড়হিম করে দেওয়া এই ঘটনা ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার বোরিও থানা এলাকার।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় চাটকি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল থেকে মানুষের মাথার খুলি ও মৃতদেহের ৯টি টুকরো পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহাংশগুলি উদ্ধার করে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মৃতদেহটি নিখোঁজ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মালতী সোরেনের। সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পেয়ে ওই জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করে তারা। সেই সময়ই মাথার খুলি-সহ ন’টি দেহাংশ পাওয়া যায়। আশেপাশেই পাওয়া গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর পোশাক, একটি রক্তমাখা নাইটি, চটি, চুল এবং বাইকের চাবি। এসব কিছু স্থানীয় চাটকি গ্রামের নিখোঁজ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৭ এপ্রিল থেকে বোরিও ব্লকের বাঞ্জি চাটকির অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মালতী সোরেন নিখোঁজ ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রথম থেকেই তাঁক হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছিলেন ঘনিষ্ঠরা। চাটকি পাহাড়ে মহিলার লাশ উদ্ধারও হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
মালতী সোরেনের মা সঞ্জলি টুডু দিন তিনেক আগেই থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুলিশ ওই মহিলার স্বামী ও পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু নিখোঁজ মহিলার সম্পর্কে প্রায় কিছু জানা যায়নি। পুলিশ মনে করছে, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে ওই হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় থানার ইনচার্জ জগন্নাথ পান জানান, চাটকি গ্রামের জঙ্গলে মানুষের মাথার খুলি পড়ে রয়েছে, এমন খবর থানায় আসে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাথার খুলি-সহ নয় টুকরো লাশ উদ্ধার করে। সেগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পরবর্তী তদন্তের কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।