দেখতে অবিকল ‘শয়তানের চোখ’! গুহা টেনে নেয় নদীর সব জল

দেখতে অবিকল ‘শয়তানের চোখ’! গুহা টেনে নেয় নদীর সব জল

কলকাতা: এই বিপুলা পৃথিবীর কোথায় কত রহস্য, তা বুঝতে পারা কার্যত অসম্ভব। এমন কিছু রহস্য রয়েছে যার সমাধান বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত করতে পারেনি। এখানে অবশ্য রহস্য জড়িয়ে রয়েছে একটি নদীর সঙ্গে। নদীর উৎপত্তিস্থল জানতে পারা গেলেও এর শেষ কোথায় তা বোঝা যায়নি। সর্বোপরি, এর রূপ অনেকটা ঘূর্ণিঝড়ের মতোই দেখতে। তবে নদীতে যে জল নেই, শুকিয়ে তা শেষ হয়ে গিয়েছে একেবারেই তা নয়। বরং অত্যন্ত স্রোতস্বিনী সে। কিন্তু আমেরিকার এই নদীতে লুকিয়ে রয়েছে একাধিক রহস্য। অনেকে বলে এই নদী গুহায় গিয়ে মিলিতে হয়েছে। সেখানে এই নদীর এক অন্য রূপ। যা থেকে এর নাম হয়েছে ‘The Devil’s Kettle’।

কিন্তু কোন পথে প্রবাহিত হয় এই নদীটি? 

এই নদীটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লেক সুপিরিয়রের উত্তর তীরে মিনেসোটার জাজ সিআর ম্যাগনি স্টেট পার্কে জলপ্রপাতের আকারে পড়েছে। যদিও সেখানে পড়া সমস্ত জল একটি ছোট গর্তে শোষিত হয়, যা একটি গুহার মতো। সেখানে এটি যেন সাইক্লোন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই ব্রুল নদীটি অত্যন্ত আঁকাবাঁকা। সরু পাথরের পথ বেয়ে নিচের দিকে পড়ে এই গর্তে প্রবেশ করে। আর সেখানে পৌঁছে যেন নদীটি রুদ্রমূর্তি ধারণ করে।

বিজ্ঞানীরা এই রহস্যে সমাধান করতে পারেননি

কীভাবে বিলীন হয়েছে এই নদী তা বিজ্ঞানীদের কাছে আজও রহস্যই রয়ে গিয়েছে। এই নদীর জল কোথায় যায় তার রহস্য উদঘাটন করতে, বিজ্ঞানীরা পিং-পং বল, রঞ্জক উপাদান সব এই ডেভিলস আই-তে রেখে বোঝার চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তর আজও অধরাই থেকে গিয়েছে।

এই গুহাটিকে ‘ডেভিলস কেটল’ কেন বলা হয়? 

স্থানীয় ব্যক্তিরা এই গুহাটিকে ‘ডেভিলস কেটল’ হিসেবেই ডাকে। কিন্তু এই গুহার এমন নামের কি কোনও অন্য অর্থ রয়েছে? বহু শতাব্দী আগে যখন বিজ্ঞানের এত উন্নতি হয়নি, তখন থেকেই মানুষ কোনও ভাল কিংবা খারাপ বিষয়কে ঈশ্বর এবং শয়তানের সঙ্গে যুক্ত করা হত। মনে করা হত, এই গুহাই নদীর সব জল শুষে নিচ্ছে। তাই একে শয়তানের কেটলি বলা হয়। যা কখন ও পূরণ হয় না।

(Feed Source: abplive.com)