পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ কোলাহল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনগণের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে যে পাকিস্তানিরা তাদের পূর্বপুরুষদের অভিশাপ দিচ্ছে যে কেন তারা দেশভাগের সময় ধর্মের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তানে চলে এসেছিল। আপনি যদি পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া ফোরামগুলি দেখেন, আপনি দেখতে পাবেন যে সেখানকার লোকেরা ভারতে জন্মগ্রহণ করা ভারতীয়দের ভাগ্যবান বলছেন, পাকিস্তানি লোকেরা তাদের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করছে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করছে। পাকিস্তানিরা দেখছে প্রত্যেক ভারতীয় কতটা খুশি এবং প্রত্যেক পাকিস্তানি কতটা ছিন্নভিন্ন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন হয় এবং একই তারিখে পাকিস্তানের জন্ম হয়। তারপর থেকে আজ অবধি যাত্রায় ভারতীয় গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং অর্থনীতি এতটাই শক্তিশালী হয়েছে যে আজ ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। অন্যদিকে, পাকিস্তান গঠনের পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি এবং অর্থনৈতিক ফ্রন্টে পরিস্থিতি এমন যে, দাবি করার পরও খাদ্য পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ অন্যান্য দেশ ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বা বেলআউট.. যদি দেখা যায়, আজ পাকিস্তানের অবস্থা দেখে, বিশ্বের প্রতিটি দেশ বলছে যে যা করবে, তার দাম দেবে, কিন্তু প্রশ্ন জাগে যে আমাদের নিজের দেশের নেতারা কী, বিশেষ করে যারা বছরের পর বছর ধরে জম্মু-কাশ্মীর লুট করেছে, বলছে? এই প্রশ্নের উত্তরে, আমরা আপনাকে বলি যে মেহবুবা মুফতি, একজন পাকিস্তানপন্থী নেত্রী, পাকিস্তানে হৈচৈ দেখেও, এটিকে ভারতের চেয়ে ভাল বলছেন, অন্যদিকে ফারুক আবদুল্লাহ ইমরান খানকে নিরাপদে রাখার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছেন।

যদিও ভারত ও পাকিস্তানকে কোনোভাবেই তুলনা করা যায় না, কিন্তু তারপরও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি যে তুলনা করেছেন, তা আপনাদের সকলেরই জানা এবং বোঝা উচিত যে কীভাবে এবং কেন জম্মু ও কাশ্মীর এই নেতাদের শাসনে ছিল। পিছিয়ে গেছে? আসুন আমরা আপনাকে বলি যে মেহবুবা মুফতি বলেছেন যে পাকিস্তানে রাজনৈতিক নেতাদের খুব ‘বেয়াদব অভিযোগে’ গ্রেপ্তারের পরে, গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে, তবে আশার একমাত্র রশ্মি হল স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং সোচ্চার মিডিয়া সরকারকে জবাবদিহি করে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সভাপতি মেহবুবা মুফতি টুইট করেছেন, “পাকিস্তানে গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। সেখানে স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং সোচ্চার মিডিয়া সরকারকে জবাবদিহি করছে এবং এটিই একমাত্র আশার রশ্মি, কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে এটি এমন নয়। রাজনৈতিক নেতা/প্রতিনিধিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, কিন্তু অন্যান্য ভারসাম্য রক্ষাকারী সংস্থাগুলি এখনও ” হাঁটু গেড়েছে”

অন্যদিকে, পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলতে গেলে, তিনি বলেছেন যে একটি অস্থিতিশীল পাকিস্তান ভারত সহ সমস্ত দেশের জন্য বিপজ্জনক। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “একটি অস্থিতিশীল পাকিস্তান আমাদের নিজেদেরসহ সব দেশের জন্যই বিপজ্জনক। আমরা একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তান চাই, যেখানে গণতন্ত্র বিকাশ লাভ করে। আবদুল্লাহ বলেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক এবং এর অর্থনৈতিক অবস্থাও বিপর্যস্ত। “গত বছর এই অঞ্চলে প্রবল বন্যা হয়েছিল এবং অনেক এলাকা এখনও তা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার মানুষ এখনো তা থেকে রেহাই পায়নি। এমতাবস্থায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া আরও বিপজ্জনক।

প্রতিবেশী দেশটির উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ইতিহাসের দিকে তাকালে স্বাধীনতার পর থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী (লিয়াকত আলী খান) হত্যা করা হয়, এরপর (জুলফিকার আলী) হত্যা করা হয়।’ ভুট্টোকে ফাঁসি দেওয়া হয়। এরপর তার মেয়ে বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করা হয়। এখন, ইমরান খান চতুর্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী যাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আল্লাহ তাদের নিরাপদে রাখুন।

(Feed Source: prabhasakshi.com)