শিক্ষা নেই এদের! অযোগ্যদের সঙ্গে সেটিং করে চাকরি ফেরাচ্ছে পর্ষদ: বিকাশরঞ্জন

শিক্ষা নেই এদের! অযোগ্যদের সঙ্গে সেটিং করে চাকরি ফেরাচ্ছে পর্ষদ: বিকাশরঞ্জন

অযোগ্যদের সঙ্গে সেটিং করে চাকরি ফেরালেও শেষ পর্যন্ত করুণ পরিণতি হবে প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। অযোগ্যদের চাকরি ফেরত প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে প্রতিক্রিয়ায় এমনই জানালেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, শুনানি চলাকালীন এই ভাবে অযোগ্যদের পুনর্নিয়োগ অনৈতিক। আদালতে আমরা সেকথা তুলে ধরব।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে একে একে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী ও নবম দশম ও প্রাথমিকের শিক্ষকরা। আর একে একে এই মামলাগুলিতে হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতের প্রক্রিয়া মেনে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই অযোগ্যদের চাকরি ফেরানোর জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। গত সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ৩০০০ এর বেশি অযোগ্য শিক্ষককে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার ২৬৯ জন অযোগ্য শিক্ষককে বহালের নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিকাশবাবু বলেন, পর্ষদ ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে সেটিং হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরেও কেন তাদের পুুনর্বহাল করা হয়নি এই প্রশ্ন তুলিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অযোগ্য প্রার্থীদের দিয়ে আদালত অবমাননার মামলা করিয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্ষদ। সেই মামলাকে শিখণ্ডি করে অযোগ্যদের চাকরি ফেরতের নির্দেশিকা জারি করছে পর্ষদগুলি। আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চলাকালীন এই ধরণের কাজ করা অনৈতিক। আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতের সামনে তুলে ধরব।

তিনি আরও বলেন, শুনানি শেষে রায়দান হলে পর্ষদকে আবার এদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তখন আরেকবার মুখ পুড়বে সরকারের।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি থেকে কিছুই শেখেননি তাঁরা। শেখেননি মানিক ভট্টাচার্য ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জেলযাত্রা থেকে। এখনও রাজনৈতিক প্রভূদের মদতে দুর্নীতিবাজদের মদত দিয়ে চলেছে তারা।

(Feed Source: hindustantimes.com)