‘৭ দিনের প্রশিক্ষণে থানায় কাজ’, ৩ মাসের মধ্যে পুলিশে নিয়োগ সম্পূর্ণ করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

‘৭ দিনের প্রশিক্ষণে থানায় কাজ’, ৩ মাসের মধ্যে পুলিশে নিয়োগ সম্পূর্ণ করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা : ‘৩ মাসের মধ্যে পুলিশে সব নিয়োগ শেষ করতে হবে’, নবান্নের বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee)। ‘৭ দিনের প্রশিক্ষণের পর থানায় কাজে লাগানো হোক, মাসে ৭ দিন প্রশিক্ষণ, ২১ দিন ফিল্ডে কাজ করাতে হবে’, নবান্নের বৈঠকে নির্দেশ  মুখ্যমন্ত্রীর।

পুলিশ নিয়োগে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা

বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে উৎকর্ষ বাংলা নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন বিভিন্ন বণিক মহলের সদস্যরা। যে বৈঠকের মাঝে প্রশাসনিক ও পুলিশের কর্তাদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘৩ মাসের মধ্যে পুলিশের সব নিয়োগ সম্পূর্ণ করতে হবে। আর ট্রেনিং যেটা তোমরা ৬ মাসে দিতে, ৩ মাসে দিতে, তার জায়গায় ৭ দিন ট্রেনিং দিয়ে এক একটা থানায় পাঠাও। ফোর্স বাড়াও। সেখান থেকে যখন ফিল্ড ট্রেনিং দেবে তখন ২১ দিন ফিল্ডে কাজ করাও। এই সিস্টেমে নিয়ে এসো।’

মুখ্যমন্ত্রীর ‘ডিপ্লমা চিকিৎসক’ প্রস্তাব

পুলিশে নিয়োগ সম্পূর্ণ করার পাশাপাশি ডাক্তারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫ বছরের ডিগ্রি কোর্সের পরিবর্তে ৩ বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে ডাক্তারদের নিয়োগ করা যায় কি না, খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসচিবকে বলেন, ‘ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমে চিকিৎসক তৈরি করা যায় কি না বিষয়টা দেখ, তাহলে অনেক ছেলে-মেয়ে সুযোগ পাবে। যাঁরা অরিজিনাল ডাক্তার তাঁদের অনেক পড়াশোনা করতে হয়, পরীক্ষা দিতে হয়, অনেকটা সময় পড়াশোনা করতে হয়। যার সঙ্গে তারা কাজও করে। কিন্তু দিনে দিনে হাসপাতাল বাড়ছে, লোকসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে হাসপাতালে বেড সংখ্যাও, তাই যদি ডিপ্লোমার মাধ্যমে কয়েকজন চিকিৎসক নিয়ে তাঁদের দিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসার কাজে লাগানো যায়, তাহলেও সবারই অনেকটা সুবিধা হবে বলেই মনে হয়।’

মুখ্যমন্ত্রীর যে ভাবনা সামনে আসার পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চিকিৎসক মহল। তাঁদের মতে, চিকিৎসা শাস্ত্র এমন একটা পেশা যেখানে ‘সিভিক’ কাউকে দিয়ে কাজ সম্ভব নয়। তেমনটা হলে সমাজে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে বামফ্রন্ট সরকারের তরফেও এমন প্রস্তাব সামনে আনা হয়েছিল। যদিও তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেছেন, ‘সব বিষয়ে শর্ট কার্ট সম্ভব নয়। চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রয়োজন হয় অনেকটা পড়াশোনা। তার সঙ্গে ক্রমাগত কাজের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তৈরি হয় রোগীকে দেখা দক্ষতা। তাই তাড়াহুড়ো করে এভাবে চিকিৎসক তৈরির ভাবনা একেবারেই ভুল। এমনটা যদি হয়, তাহলে সমাজে তৈরি হতে পারে প্রবল নৈতিবাচক প্রভাব।’

(Feed Source: abplive.com)