চাকরির বাজারে বেহাল দশা! জয়েনিংয়ের আগেই ছাঁটাই হয়ে গেলেন বেসরকারি কর্মী

চাকরির বাজারে বেহাল দশা! জয়েনিংয়ের আগেই ছাঁটাই হয়ে গেলেন বেসরকারি কর্মী

সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী ৭১৬ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা করেছে লিঙ্কডইন। মাইক্রোসফ্টের মালিকানাধীন চাকরি খোঁজার প্ল্যাটফর্ম এটি। সেই সঙ্গে চিনের জন্য আলাদা করে তৈরি করা চাকরি অ্যাপ InCareer বন্ধ করার ঘোষণা করেছে লিঙ্কডইন।

সংস্থার গ্লোবাল বিজনেস অর্গানাইজেশন(GBO)-এর মধ্যে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে এই ছাঁটাই করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী LinkedIn-এ প্রায় ১৯,০০০ কর্মী রয়েছে। সংস্থার প্রায় ৩.৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে।

ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের তালিকায় থাকা এক হতভাগ্য কর্মী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তিনি জানান, নতুন নতুন চাকরি পেয়েছিলেন। সেই চাকরি শুরু করার আগেই তাঁকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। স্বাভাবিকভাবেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সোই পোস্ট।

মহিলার নাম লিয়া শুহমাচার। তিনি এর আগে আয়ারল্যান্ডের লিঙ্কডইনে ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করেছিলেন।

লিঙ্কডইন-এই করা পোস্টে, তিনি লিখেছেন: ‘চাকরি শুরু করার আগেই ছাঁটাই? আমার (এবং অন্য অনেকের) দুনিয়ায় আপনাদের স্বাগত জানাই। আজ, লিঙ্কডইন শুধু তাদের শতশত কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণাই করেননি, বরং এর পাশাপাশি তাদের বিজনেস লিডারশিপ প্রোগ্রাম বন্ধ হওয়ারও ঘোষণা করেছে।’

লিয়া জানিয়েছেন, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁকে সংস্থায় একটি চাকরির অফার দেওয়া হয়। বেশ কয়েক মাস অপেক্ষা করার পর, তিনি লিঙ্কডইন টিমের কাছ থেকে একটি ইমেল পান। তাতে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তাঁর অফার লেটার বাতিল করা হয়েছে। IANS-এর প্রতিবেদন অনুসারে, তিনি তাঁর পোস্টের প্রমাণ হিসাবে ইমেলের একটি স্ক্রিনশটও দিয়েছেন।

ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ইমেলে কিছু আর্থিক সহায়তার কথাও বলা হয়েছে। তবে তিনি পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে নিজের অসন্তোষ উগড়ে দিয়েছেন। লিয়া জানিয়েছেন, তিনি অন্য বেশ কিছু চাকরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর দাবি, LinkedIn-এর আশ্বাসের ভিত্তিতে তিনি বেশ কিছু অন্যান্য সুযোগ হাতছাড়া করেছেন।

তিনি জানান, শুধু চাকরিই নয়। এই সুযোগের অপেক্ষায় তিনি মাস্টার্স প্রোগ্রামে সুযোগ পেয়েও তাতে যোগ দেননি। এই একটি চাকরি নিয়েই তিনি খুব উত্সাহের সঙ্গে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জয়েনিংয়ের আগেই যে তাঁকে এভাবে ছাঁটাই করা হবে, তা যেন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।

(Feed Source: hindustantimes.com)